বৃহস্পতিবার শান্তিপুর হাসপাতালে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। এই হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এক মহিলা চিকিৎসক। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগের সপক্ষে কোনও ফুটেজ নেই। শান্তিপুর হাসপাতালের ঘটনায় এ কথা জানালেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য তথা বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার। হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে মানসিক হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল ওই হাসপাতালেরই সুপারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে পৌঁছন অর্চনা। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
পরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখেছি। নার্সদের সুরক্ষা আমাদের প্রাথমিক উদ্বেগের জায়গা। একজন অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্ত তা অস্বীকার করেছেন। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজেও মহিলার অভিযোগের সপক্ষে কোনও ফুটেজ নেই। ওই চিকিৎসকের সঙ্গেও দেখা করেছি। তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।” অর্চনা আরও জানান, স্বাস্থ্য দফতর এই অভিযোগের তদন্ত করছে। পাশাপাশি তিনিও একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবেন নিজের দফতরে।
শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মানসিক হেনস্থা এবং হুমকির অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক। থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন শান্তিপুর হাসপাতালের সুপার। মহিলা চিকিৎসকের দাবি, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে দীর্ঘ দিন তাঁকে মানসিক হেনস্থা করছেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার। তাঁর বক্তব্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি শান্তিপুর হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। তার পর থেকেই কাজের জায়গায় তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।
এমনকি ওই মহিলা ডাক্তারের দাবি, তিনি রাতে হাসপাতালে নিরাপদ বোধ করছেন না। বিষয়টি জানানো হলেও তাঁর কথায় ভ্রুক্ষেপ করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, বিভিন্ন রকম অসহযোগিতা নিয়ে একাধিক বার তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। উল্টে গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালে সুপার তাঁকে আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের প্রসঙ্গ টেনে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতাল সুপারের দাবি, তাঁর সঙ্গে মহিলা চিকিৎসকের দেখাই হয়নি। তাই হুমকি দেওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। শান্তিপুর হাসপাতালে রোগীর চাপ ভালই আছে। সে ক্ষেত্রে মহিলা চিকিৎসক কাজের চাপ নিতে পারছেন না বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন সুপার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy