Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
পড়শি জেলা

নকল সংসদেও তামাদি টাকা

সাজানো বড় ঘর। সামনে বসে রয়েছেন ‘অধ্যক্ষ’। ডান দিকে সরকারি দলের সদস্যেরা। আর বাম দিকে বিরোধীরা। ‘অধিবেশন’ শুরু হতেই বিরোধী বেঞ্চ থেকে দাবি ওঠে—আগে নোট বাতিল নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

তখন চলছে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। —নিজস্ব চিত্র

তখন চলছে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৬
Share: Save:

সাজানো বড় ঘর। সামনে বসে রয়েছেন ‘অধ্যক্ষ’। ডান দিকে সরকারি দলের সদস্যেরা। আর বাম দিকে বিরোধীরা। ‘অধিবেশন’ শুরু হতেই বিরোধী বেঞ্চ থেকে দাবি ওঠে—আগে নোট বাতিল নিয়ে আলোচনা করতে হবে। অর্থমন্ত্রীকে এ নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। এরপর একের পর এক ‘সাংসদ’ নোট বাতিল ইস্যুতে চেপে ধরলেন সরকারকে। নাহ্, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের লোকসভা বা রাজ্যসভা নয়। সেখানেও অবশ্য নোট বাতিল নিয়ে লেগে রয়েছে সরকার-বিরোধীদের কথার লড়াই। আর মঙ্গলবার মু়ড়াগাছা সরকারি কলেজের নকল সংসদে উঠে এল নোট বাতিল প্রসঙ্গ।

নোট বাতিলের ফলে কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ কী অবস্থায় রয়েছেন, তা তুলে ধরলেন নকল সংসদের বিরোধী আসনে বসা পড়ুয়ারা। ‘জিরো আওয়ার’-এ নোট বাতিলের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বিমুদ্রাকরণের জেরে এ রাজ্যের চা বাগানের শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না। মানুষকে ব্যাঙ্কে দীর্ঘক্ষণ লাইন দিতে হচ্ছে টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার জন্য। এ সব প্রশ্ন তোলেন বিরোধী আসনের ‘সাংসদ’ হিমাদ্রীশেখর বসু। অন্যদিকে ‘কৃষিমন্ত্রী’ শুভঙ্কর সিংহরায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন নোট বাতিলের জেরে কৃষিকাজে কি প্রভাব পড়েছে।

১১টি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়েছিল। সেখানে মুড়াগাছা গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে শুরু করে মাজদিয়ার সুধীররঞ্জন লাহিড়ী কলেজের পড়ুয়ারা যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় নোট বাতিলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন। এদিন জেলাস্তরের যুব সংসদ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অতিরিক্তে জেলাশাসক (সাধারণ) প্রিয়াঙ্কা সিংলা, সর্বশিক্ষা মিশনের জেলার প্রকল্প আধিকারিক সচ্চিদানন্দ বন্দোপাধ্যায়, এলাকার বিধায়ক কল্লোল খান, মুড়াগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ কর্মকার প্রমুখ।

অন্য দিকে, এ দিন মাজদিয়ার সুধীররঞ্জন লাহিড়ী কলেজের পক্ষ থেকে যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় নকল বিধানসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ‘মুখ্যমন্ত্রীর’ ভূমিকায় ছিলেন ওই কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী পম্পা বিশ্বাস। ‘বিরোধী দলনেত্রী’র ভূমিকায় ছিলেন সোনালি বিশ্বাস।

সোনালি বিশ্বাস নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার জন্য শাসকদলকে চেপে ধরেন। ‘মুখ্যমন্ত্রী’ পম্পা বিশ্বাস কেন্দ্রের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, “কেন্দ্রের জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Demonetisation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy