Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
পরিষেবা পেতেও হয়রানিপরিষেবা পেতেও হয়রানি
COVID-19

প্রশাসক নেই, বেতন পাননি চারশো কর্মী

বাৎসরিক পরবের দিনেও হাত ফাঁকা থাকায় তাঁদের অনেকে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়
বেলডাঙা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২১ ০৬:৩৮
Share: Save:

মাসাধিক কাল ধরে ‘অভিভাবকহীন’ অবস্থা পুরসভার। করোনা আবহে পুরসভায় এমনতেই উপভোক্তাদের আনাগোনা কমে গিয়েছিল। তার মধ্যেও যাঁরা অনন্যোপায় হয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছিল পরিষেবা পেতে গিয়ে। বিধানসভা ভোট মিটে গিয়ে রাজ্যে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। তা সত্ত্বও হয়রানির ছবিটা এখনও বদলায়নি বেলডাঙা পুরসভায়। অভিযোগের পাহাড় জমছে। কিন্তু এবার হয়রান খোদ পুরকর্মীরাই। অভিযোগ, মাসের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও চলতি মাসে পুরসভার সব ধরনের কর্মী মিলিয়ে প্রায় ৪০০ জন মাইনেই পাননি। শুক্রবার ইদের দিনও খালি হাতে শুকনো মুখে পরব কাটাতে হয়েছে অনেককে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলডাঙা পুরসভায় মোট ৭০ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। পুরপ্রশাসকের সই ছাড়া তাঁরা বেতন পান না। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রশাসকহীন অবস্থায় রয়েছে পুরসভা। কারণ, আগের পুরপ্রশাসক যিনি সেই ভরত ঝাওয়ার মাসখানেক আগে ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কারও করেছে তৃণমূল। তারপর থেকে নতুন কোনও প্রশাসক আসেননি পুরসভায়। ফলে কর্মীরা মে মাসের ১৫ তারিখেও মাসিক বেতন পাননি বলে অভিযোগ।

পুরসভার অনেক কর্মীরই আশা ছিল, ইদের আগে হয় তো তাঁদের বেতন মিলবে। কিন্তু তা না হওয়ায় এদিন তাঁদের উৎসব ম্লান হয়ে গিয়েছে। ওই কর্মীদের কয়েকজনের দাবি, তাঁদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ। তাঁদের ওষুধ কিনতে গিয়েও তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দু’-একজনের পরিবারে আবার করোনা আক্রান্ত রোগীও রয়েছেন। মাইনে না পাওয়ায় তাঁদের চিকিৎসা করাতে ও দৈনন্দিন খরচ চালাতে ধার-দেনাও করতে হচ্ছে। বাৎসরিক পরবের দিনেও হাত ফাঁকা থাকায় তাঁদের অনেকে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বেলডাঙা সাত নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর কিশোর ভাস্কর বলেন, “পুরসভা প্রশাসকহীন ভাবেই চলছে। বাসিন্দারা ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। ইদের আগে অন্যবার রাস্তার ধার জীবাণুমুক্ত করা হয়। সে সব এখন বন্ধ। কর্মীরাও অনেকে মাইনে পাননি। অবিলম্বে তাঁদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হোক।” বেলডাঙা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য আবু সুফিয়ান মণ্ডল এ নিয়ে বলেন, “প্রশাসক না থাকায় সমস্যা তো হচ্ছেই। কর্মীদের বেতনও সময়মতো হয়নি। এতে কর্মীদের সমস্যা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যাতে জটিলতা কেটে যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে পুরসভার একটি সূত্রে খবর, নতুন সরকারে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বদল হয়েছেন। আগে ওই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। নতুন সরকারে এই দায়িত্ব পেয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই কারণেই নাকি এই বিলম্ব। বেলডাঙার তৃণমূলের বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ বলেন, “প্রশাসক না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত প্রশাসক নিযুক্ত হয় যাতে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Wage Salary COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy