আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। Sourced by the ABP
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে আজ, মঙ্গলবার হরিণঘাটায় আসার কথা ভাঙরের আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফতেপুর পঞ্চায়েতের বামুনপাড়া বাজার ও নগরউখড়া-২–এর দীঘলগ্রাম চৌমাথায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের তিনি আসছেন।
সোমবার থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা তার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নওশাদ সিদ্দিকীর এই প্রচারের নৈতিক সমর্থন জানানো হয়েছে। হরিণঘাটা ব্লকের আইএসএফের সভাপতি মহাবুল মণ্ডল বলেন, “হরিণঘাটায় নওশাদ সিদ্দিকীর নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে।”
হরিণঘাটা ব্লকে পঞ্চায়েত স্তরে ১৯টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩টি এবং জেলা পরিষদের আসনে ১টি প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। হরিণঘাটা ব্লকে মোল্লাবেলিয়ার বামনবেড়িয়া, হাজরাবেলিয়া, ফতেপুরের ভবানীপুর, সত্যপোল, বাঁশবোনা, বেলেডাঙা, নগরউখড়া-২ পারুলিয়া, সিঙা, দীঘলগ্রাম, নগরউখড়া-১-এর গোয়ালডোবের মতো সংখ্যালঘু এলাকায় তারা ভাল প্রভাব ফেলবে বলে আইএসএফের দাবি। ভোট কাটাকাটির খেলায় কোনও-কোনও আসনে তারা নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে বলে অনেকেই মনে করছেন। হরিণঘাটা ব্লকের কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অনিল ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত স্তরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এলাকায় কোনও কোনও আসনে আইএসআফ প্রভাব ফেলবে।”
হরিণঘাটায় নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বেশ কিছু এলাকায় তৃণমূলের একাংশ ভোট বিরোধীদের দিকে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আইএসএফের ঝুলিতেও তৃণমূলের কিছু ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও তৃণমূলের হরিণঘাটা ব্লকের সভাপতি নারায়ণচন্দ্র দাসের দাবি, “হরিণঘাটায় আইএসএফের তেমন কোনও প্রভাব নেই। নওশাদ সিদ্দিকী প্রচারে এসেও প্রভাব ফেলতে পারবেন না। আর তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’’
বাম-কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিণঘাটার দু’একটি জায়গা ছাড়া নিচুস্তরের কর্মীদের মধ্যে আইএসফের সঙ্গে একটা সমঝোতা রয়েছে। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মতো করে একে-অপরের প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন। যদিও আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা নিজেদের মতো করেই লড়ছেন।
হরিণঘাটার জেলা পরিষদের ৫২ নম্বর আসন নিয়ে বামেদের সঙ্গে আইএসএফের টানাপড়েন চলেছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। আইএসএফের দাবি ছিল, জেলা পরিষদের ৫২ নম্বর আসনটি বামেরা আইএসএফের জন্য ছেড়ে দিলে বামেদের সঙ্গে হরিণঘাটায় পঞ্চায়েত স্তরে ও পঞ্চায়েত সমিতিতে সমঝোতা করবে।
শেষ পর্যন্ত বামেরা জেলা পরিষদের আসন নিয়ে আইএসএফের সঙ্গে সমঝোতায় আসেনি। বামফ্রন্টের জেলা কমিটির সদস্য অলকেশ দাস বলেন, “হরিণঘাটা ব্লকে নিচুতলার বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া রয়েছে। শুধু জেলা পরিষদের ৫২ নম্বর আসনের ক্ষেত্রে বাম ও আইএসএফ আলাদা ভাবে লড়ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy