রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র কর্মসূচি নিয়ে জেলায় জল্পনা তুঙ্গে। বুধবার রাহুলদের মালদহে প্রবেশ করার কথা। সেখান থেকে ১ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তাঁদের আসার কথা। জেলা সফরকালে কংগ্রেসের পাশে থাকতে চায় বামেরা। সেই মতো জেলায় ‘ন্যায় যাত্রা’র কর্মসূচির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সোমবার সকালে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাসকে ফোনও করেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জামির মোল্লা। তবে, পদযাত্রার দেড় দিন আগেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারল না সিপিএম। রাজ্য স্তরের নেতাদের প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, জেলা স্তরে সিপিএম নেতাদের আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার জামির বাম যুব সংগঠনের ইনসাফ যাত্রার সঙ্গে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র তুলনা করেন। তিনি বলেন, “এই কর্মসূচি আমাদের ইনসাফ যাত্রার তূল্য। কংগ্রেসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। সমস্ত গণতান্ত্রিক দলের উচিত রাজ্য ও কেন্দ্রের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের কোনও বিরোধিতা নেই বরং নৈতিক সমর্থন আছে। কংগ্রেস যদি আমাদের আমন্ত্রণ জানায় তা হলে আমরা অবশ্যই সেখানে থাকব।” যদিও, শিলিগুড়িতে স্থানীয় কংগ্রেসের তরফ থেকে বাম নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে দাবি জামিরের। তাঁর সংযোজন, “আমাদের দলের শৃঙ্খলা অনুযায়ী রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ এলে অবশ্যই আমরা কংগ্রেসের পদযাত্রায় অংশ নেব।” মুর্শিদাবাদে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমেরও ‘ন্যয় যাত্রা’য় পা মেলানোর কথা।
এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “শিলিগুড়িতে সিপিএম নেতারা গিয়েছিলেন। বহরমপুরেও তাঁরা চাইলে থাকতে পারেন।”
তৃণমূল অবশ্য পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি। কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “বামেরা যেচে নেমন্তন্ন নিচ্ছে। ওই দলটার কিছুই যে আর অবশিষ্ট নেই এর থেকে ভাল উদাহরণ আর কী বা হতে পারে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy