Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Special Sweets for Eid

ইদের মুখে রাত জেগে তৈরি হচ্ছে ক্ষীরজন্নত, রসকদম্ব

বেলডাঙা পুরসভা এলাকা ও পাশের লাগোয়া গ্রামীণ এলাকা ধরলে প্রায় ৫০টি মিষ্টির দোকান রয়েছে।

দোকানে মিষ্টান্ন। কপির ছবি।

দোকানে মিষ্টান্ন। কপির ছবি। চিত্র সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়।

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়
বেলডাঙা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৮
Share: Save:

মিষ্টিমুখ ছাড়া উৎসব বেমানান। সামনে ইদ পরে বাংলার নববর্ষ। তারপর লম্বা বিয়ের মরশুম। এই বারোমাসে তেরো পার্বণে স্বাদ বদলাতে ইদের মিষ্টিতে সাবেকিয়ানার সঙ্গে মিশছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ইদের আগেই প্রস্তুত রকমারি মিষ্টান্ন। রাত জেগে তৈরি হচ্ছে রসগোল্লা, ছানাবড়া, ক্ষীরের পান্তুয়া, রসকদম্ব, মালাই চমচম, মালাই বরফি, মিল্ক কেক, রাজভোগ, সাগরিকা, মিহিদানা, সীতাভোগ, গোলাপখাস, কাজু বরফি, মনোহরা, ক্ষীরজন্নত, রঙ্গিলা, কালাকাঁদ, কেশরভোগ, মধুমালতী, ক্ষীরের ল্যাংচা, ছানার জিলিপি, মালপোয়া, খেজুর প্রভৃতি।

বেলডাঙা পুরসভা এলাকা ও পাশের লাগোয়া গ্রামীণ এলাকা ধরলে প্রায় ৫০টি মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেখানে নানা প্রকার মিষ্টির মধ্যে ইদের আগে বিশেষ কিছু মিষ্টান্ন আলাদা যত্নে ময়রাদের হাতে তৈরি হচ্ছে। তাদের মধ্যে রসকদম্ব, মনোহরা, মিল্ক কেক, কাঁচাগোল্লা, গোলাপখাস অন্যতম। বেলডাঙার এক ময়রা নিতাই দাসের কথায়, এক কিলো চাঁচির সঙ্গে ৪০০ গ্রাম চিনি মিশিয়ে কড়া পাক তৈরি করা হয়। তারপর খুব ছোট আকারের ঘন রসের রাজভোগ তৈরি করে গোলাকার চাঁচির মণ্ডের মধ্যে সেই রাজভোগ হাতের কায়দায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরে ছোট পাত্রে পোস্ত রেখে সেই মণ্ডগুলিতে তা মাখিয়ে নিলেই রসকদম্ব তৈরি। কদম ফুলের মতো দেখতে বলে কেউ কেউ কদমফুলও বলেন।

কাঁচা গোল্লার ক্ষেত্রে ১০ কিলো দুধের সঙ্গে পরিমান মতো চিনি মিশিয়ে পাক দিতে হবে। পরে সেটিকে ছানায় পরিণত করতে হবে। ঠান্ডা হলে পাকিয়ে নিতে হবে। এলাচের ব্যবহার রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। মিল্ক কেকের ক্ষেত্রে চাঁচির পাক সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে কড়াইয়ে নাড়াতে হবে। তারপর মাপ আকারে কেটে নিয়ে পাত্রে সাজিয়ে দিতে হবে। নিতাই বলেন, “কলকাতার বালিগঞ্জে ১২ বছর কাজ শিখেছি। সেখানে রকমারি মিষ্টি তৈরি হাতে কলমে শিখেছি। সেই কাজ শিখে বেলডাঙার মিষ্টির দোকানে কাজ করছি।” মিষ্টি বিক্রি লাফিয়ে বেড়েছে এই ইদের মরশুমে। সেই সঙ্গে মিষ্টির দামও বেড়েছে। প্রতিটা মিষ্টি ১০, ১৫, ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানাচ্ছেন কিছুটা হলেও দাম বেশি। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন মিষ্টির কাঁচামালের দাম বেশি। কম দামে ভাল মিষ্টি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই গুণগত মান ভাল রেখে মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে। সুলোচনা খাতুনের কথায়, “মিষ্টির স্বাদ ভাল। তবে মিষ্টির আকার ছোট হয়েছে কিন্তু দাম একই নেওয়া হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Beldanga
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy