বাবা, মাকে এলোপাথাড়ি কোপালেন বড় ছেলে! প্রতীকী ছবি।
সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল দাদার। কিন্তু দিন পনেরোর মাথায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যান নববধূ। বিয়ে করেন স্বামীরই মেজো ভাইকে। তার পর থেকে তাঁরা দীর্ঘ দিন বাড়ির বাইরে ছিলেন। সম্প্রতি সেই ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগে। আবারও মেজো ভাই এবং তাঁর স্ত্রীর যাতায়াত শুরু হয় বাড়িতে। দাদার ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও ঘনিষ্ঠতা বা়ড়তে থাকায় বাড়িতে ঝামেলা লেগেই ছিল। গন্ডগোল চরমে পৌঁছলে রাগের মাথায় বাবা-মাকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপালেন সেই দাদা!
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার উত্তরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকেই পলাতক মূল অভিযুক্ত তথা বাড়ির বড় ছেলে অরবিন্দ বিশ্বাস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অরবিন্দের বাবা বাসুদেব বিশ্বাস (৬৫) এবং মা মিনতি বিশ্বাস (৫৮)-কে স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাসুদেবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মিনতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই হাসপাতাল থেকে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর মাথায় ও পিঠে ক্ষত রয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও কৃষ্ণগঞ্জ থানা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই খুনের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, অরবিন্দ পেশায় দিনমজুর। সম্বন্ধ দেখেই তাঁর সঙ্গে দীপালি বৈদ্যের বিয়ে হয়। সেই বিয়ে অস্বীকার করে দীপালি অরবিন্দেরই মেজো ভাই বাপি বিশ্বাসকে বিয়ে করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তার পর থেকে মাস ছয়েক ধরে বাড়ির কারও সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। সম্প্রতি বাবা-মায়ের সঙ্গে বাপি এবং দীপালির যোগাযোগ তৈরি হওয়ায় তা মেনে নিতে পারেননি অরবিন্দ। তা নিয়ে বাড়িতে নিত্য ঝামেলাও হয়েছে। পড়শিদের মধ্যস্থতায় বিবাদ সাময়িক ভাবে মিটেছিল বটে। কিন্তু আগুনে ঘি পড়ে দীপালি প্রথম বিয়েতে পাওয়া জিনিসপত্র অরবিন্দের থেকে ফেরতে চাইলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দীপালি বাড়িতে পুলিশ এনে সেই সব জিনিস নিয়ে গেলে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। বাক্বিতণ্ডা এমন পর্যায় পৌঁছয় যে, পড়শিরাও ছুটে আসেন।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বচসার সময় বাবা-মাকে কোদাল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপান অরবিন্দ। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। দীপালি বলেন, ‘‘অরিন্দম আমাকে আর বাপিকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। বাবাকে খুন করেছে। মা-ও হয়তো আর বাঁচবে না। ওঁর যেন ফাঁসি হয়।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, অরবিন্দের খোঁজে ইতিমধ্যেই জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে তল্লাশি অভিযান চলেছে বলেই পুলিশ সূত্রে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy