রবিবার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ব্যবহৃত ওই স্যালাইন। ছবি: সাগর হালদার।
যে সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করার পর মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি-মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল, সেই সংস্থারই স্যালাইন রবিবার ব্যবহার করতে দেখা গেল তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। তবে সেটি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইন নয়। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ব্যবহৃত স্যালাইনের নাম ডি-৫। এই ধরনের স্যালাইন গ্লুকোজের একটি ধরন, যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং শক্তি সরবরাহ করে। তবে ওই একই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ নামের সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মেদিনীপুরে প্রসূতিকে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। মেদিনীপুরের ওই প্রসূতি-মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও আরএল স্যালাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। রবিবার এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি দাবি করেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে আমরা একটি বার্তা পেয়েছি। এর পরে ওই সংস্থার স্যালাইনের প্রোডাক্ট বন্ধ করা হয়েছে।”
কিন্তু তার পরেও রবিবার হাসপাতালে দেখা গেল ওই একই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করা চলছে। যদিও তা আরএল স্যালাইন নয়। এ দিন মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, এক রোগীকে ওই সংস্থার স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওই স্যালাইনের বোতল খুলে নেওয়া হয়। এ দিন পরে পুরুষ ওয়ার্ডে গেলেও আর ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন এবং কখন থেকে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে হাসপাতালের কেউ এ দিন জানাতে চাননি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতিনার বাসিন্দা ওই পুরুষ রোগী রবিবারেই কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। রোগী নিজেই বলেন, “এক জন সাংবাদিক এসে স্যালাইনের বোতলের ছবি তুলে নিয়ে যান। এর পরেই এক জন নার্স এসে স্যালাইন খুলে নিয়ে চলে যান।” রোগীর সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন তাঁর এক আত্মীয়ও। তিনি অবশ্য বলছেন, “আমি তো দেখিনি— ওকে কী স্যালাইন দিয়েছিল!”
কেন নির্দেশিকা আসার পরেও ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ সংস্থার ওই স্যালাইন ব্যবহার করা হল? তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের নার্সিং সুপার দফতরের এক নার্স বলেন, “ওই স্যালাইন সরানো হয়েছে। তবে কাল গিয়ে ফের বিষয়টি দেখব।” আর হাসপাতাল সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি দাবি করেন, “আমি হাসপাতালে এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছি। নির্দেশ দেওয়া মাত্র বিভাগের দায়িত্বে থাকা সকলে তা বন্ধও করেছেন। তবু বিষয়টি
খতিয়ে দেখব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy