জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নদিয়ার দুটি এলাকায় সৌর বিদ্যুতের সাবস্টেশন করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর।
সোমবার কল্যাণীর লেক হলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে জেলা প্রশাসনের কর্তারা ছাড়াও, ছিলেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক, এবং জেলাপরিষদের সভাধিপতি বাণীকুমার রায়।
বিভিন্ন বিদ্যুদয়ন প্রকল্পে জেলার অবস্থা নিয়ে খুশি বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জেলার শতকরা সাড়ে চুরানব্বই ভাগ এলাকায় (এপিএল এবং বিপিএল) বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি এলাকায় কাজ চলছে। দু’-একটি জায়গায় সমস্যা ছিল। তা মিটে গিয়েছে।’’ ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি জানান, সরকার এখন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর জোড় দিচ্ছে। সেই জন্যই বিশেষ বিশেষ এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের জন্য সৌর বিদ্যুতের সাবস্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। নদিয়ার মায়াপুর এবং নাকাশিপাড়ার চরকুণ্ডিপাড়ায় ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। সরকারি অফিসগুলিতেও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী জানান, রাজ্যের এক হাজার বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে সৌর্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া, কোনও কলেজ সৌরবিদ্যুত ব্যবহার করলে সেই প্রকল্পের জন্য সরকার তাদের ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে।
কল্যাণীর মহকুমা শাসক স্বপন কুণ্ডু এদিন মন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন, কল্যাণীর বিদ্যুতের তারগুলি যদি মাটির উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা বিবেচনা করছেন।
জেলা শাসক, মহকুমা শাসক এবং জেলার সভাধিপতি বাণীকুমার রায় বৈঠকে জানান, হরিণঘাটার নগর উখড়া এবং চাকদহের সিলিন্দাতে লো ভোল্টেজের জন্য সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষতি হচ্ছে। এই সমস্যার কথা শোনার পর শোভনদেববাবু দু’টি এলাকাতেই ১১ কেভি ট্রান্সফরমার বসানোর নির্দেশ দেন। এতে লো ভোল্টেজের সমস্যা মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy