Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান, বন্ধ স্কুল

তারস্বরে মাইক বাজিয়ে হাইস্কুলে ‘শিক্ষক দিবস’ উদ্যাপনে পঠন-পাঠন শিকেয় উঠল পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে থানারপাড়ার ধোড়াদহ গ্রামে। অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিদর্শক ফোনে মাইক বন্ধ রাখার অনুরোধ করলেও তাতে কান দেননি ওই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার খাইয়ে স্কুল ছুটি দিতে বাধ্য হন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১৭
Share: Save:

তারস্বরে মাইক বাজিয়ে হাইস্কুলে ‘শিক্ষক দিবস’ উদ্যাপনে পঠন-পাঠন শিকেয় উঠল পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে থানারপাড়ার ধোড়াদহ গ্রামে। অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিদর্শক ফোনে মাইক বন্ধ রাখার অনুরোধ করলেও তাতে কান দেননি ওই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার খাইয়ে স্কুল ছুটি দিতে বাধ্য হন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা।

৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা থাকায় ধোড়াদহ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উদ্যাপন করা যায়নি। স্কুল ও পরিচালন কমিটি আলোচনা করে বুধবার শিক্ষক দিবস পালন করার জন্য ধার্য করে। তাই এ দিন ওই উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে মাইক বাজিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওই স্কুলের ঠিক ৫০ মিটার দূরে রয়েছে টিকিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। অভিযোগ, মাইক এতো জোরে বাজছিল যে, ক্লাসে কোনও কথা শোনা যাচ্ছিল না। ফোনে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে বিষয়টি জানাননোর পরও মাইকের আওয়াজ না কমায় প্রায় চার ঘণ্টা পর মিড-ডে মিল খাইয়ে ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দিতে বাধ্য হন প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, “আমরা কিছুই জানতাম না। আজ স্কুল শুরুর কিছুক্ষণ পর মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাইক এতই জোরে বাজছিল যে ক্লাসে কোনও কথা শোনা যাচ্ছিল না। বিদ্যালয় পরিদর্শককে বিষয়টি ফোনে জানাই। তারপরেও এভাবে চলতে থাকার পর মিড-ডে মিল খাইয়ে ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দিতে বাধ্য হই।”

ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির তানিয়া খাতুন, মেহেদি হাসান বা তৃতীয় শ্রেণির নাসরিন সুলতানা জানায়, “পাশের হাইস্কুলের মাইকের শব্দে আমরা কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না। শেষে মাস্টারমশাইরা আমাদের স্কুলের খাবার খাইয়ে ছুটি দিয়েছেন।” করিমপুর নতুন চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শামস আফরোজ বলেন, “বিষয়টি শোনার সাথে সাথেই যোগাযোগ করি ওই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে। তাঁকে আমি অন্যের অসুবিধা না করে অনুষ্ঠান করার জন্য অনুরোধ জানাই। উনি কথাও দিয়েছিলেন। তারপরও কেন এমনটা হল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন জোয়ারদার জানান, “স্কুলের দু’দিকে ঘর থাকার জন্য আওয়াজ আটকে যাচ্ছিল। তাই মাইকের মুখ বাইরে করে দেওয়া হয়েছিল। এতে যদি কারও কোনও অসুবিধা হয়ে থাকে তার জন্য আমরা দুঃখিত।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE