বিডিও-র চেয়ারে বসে বিধায়ক ইদ্রিস আলি। সামনে তাঁর দলের নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
বিডিও নিজের কেবিন ছেড়ে উঠে গিয়েছেন। তাঁরই চেয়ারে বসে পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক করলেন তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিতে ভগবানগোলার বিধায়কের এই বিডিও চেয়ারে বসা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইদ্রিসের এ হেন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। আর বিধায়কের সাফাই, বিডিও অফিসে ইন্টারনেট পরিষেবাটা ভাল মেলে। তাই তিনি সেখানে বসেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন ইদ্রিস। সেখানে বিডিও-র চেয়ারে বসে তিনি দলীয় বৈঠক করেন। মঙ্গলবার সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর তৃণমূল বিধায়কের যুক্তি, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকায় সব জায়গায় ইন্টারনেটের সুবিধা নেই। ভিডিয়ো কলের জন্য ভালো ইন্টারনেট পরিষেবা দরকার। তাই বিডিও-র ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়েছে।’’ কিন্তু একজন প্রশাসনিক কর্তার চেয়ারে বসে রাজনৈতিক দলের বৈঠক করা কি সঙ্গত? ইদ্রিসের জবাব, ‘‘বিডিও-র একই ধরনের ২-৩টি চেয়ার থাকে। একটি চেয়ার এনে তাতে তোয়ালে জড়িয়ে সুন্দর করে রাখা হয়েছিল। সেই চেয়ারে বসেই পার্টি কনফারেন্সটা করেছিলাম।’’ তৃণমূল বিধায়কের সংযোজন, ‘‘কিছু অসভ্য শয়তান ওই ছবি তুলে ভাইরাল করছে!’’
অন্য দিকে, ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও ওয়ারশিদ খান এই বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভিডিয়ো কনফারেন্সের জন্য বিধায়ক সাহেব আমাকে ঘরটা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু দলীয় বৈঠক কি না আমি জানতাম না। বৈঠক শুরুর পর দেখলাম, সবাই চলে এসেছেন। তখন আর কাউকে বার করতে পারিনি।’’
যদিও বিধায়ক এবং বিডিও-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকা কী হতে পারে তার চূড়ান্ত ইঙ্গিত বিডিও-র চেয়ারে বসে বিধায়কের এই বৈঠক। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।’’
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এমনটা অভিপ্রেত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy