জলের তোড়ে কেটে গেল নিশিন্দ্রার কাটন। নিজস্ব চিত্র
গঙ্গায় জল কমছে। আপাতত ভাঙনও থেমেছে। কিন্তু বিপদ কাটেনি ধানঘড়া, ধুসরিপাড়া, শিবপুর ও কামালপুরের।
রাজ্য সেচ দফতর জানিয়েছে, শমসেরগঞ্জের চার গ্রামে ভাঙন থামলেও ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ফের ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
গত এক মাস ধরে চলা এই চার গ্রামে গঙ্গার ভাঙনে শমসেরগঞ্জ ব্লক অফিসের প্রাথমিক হিসেব মতো ৫৭০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শমসেরগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূলের আমিরুল ইসলামের তালিকা মতো ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৬২৭ জন। আর সিপিএমের তোয়াব আলির তালিকা অনুযায়ী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৪০০। তোয়াব বলছেন, ‘‘কিছু মানুষের বাড়ি নদীতে ধসে পড়েছে। আর কিছু পরিবার আতঙ্কে তার ঘর বাড়ি ভেঙে নিয়েছেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমীক্ষা করেছেন। সেই সব নাম নিয়ে ৪০০ পরিবারের একটি তালিকা তৈরি করেছি। দাবি জানিয়েছি, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদেরই সাহায্য দিতে হবে। যে পুনর্বাসন তালিকা তৈরি হবে তা প্রকাশ্যে ব্লক অফিসে টাঙাতে হবে। কারণ এই সব তালিকার মধ্যেও শাসক দলের কাটমানির খেলা রয়েছে। কোনও মতেই চারশোর বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।’’
প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে এক কাঠা করে দিলে ২০ থেকে ২৫ বিঘে জমি লাগবে ওই সব এলাকায়। তোয়াব বলেন, ‘‘সে জমিও খুঁজে রেখেছি। তার বিস্তারিত তথ্য সহ প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে।’’
রাজ্য সেচ দফতরের মুর্শিদাবাদের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রতিদিনই শমসেরগঞ্জ এলাকায় জল কমছে দু তিন ইঞ্চি করে। ভাঙনও থেমেছে ঠিকই। কিন্তু ভাঙন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে মনে করার কোনও কারণ নেই। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে ওই এলাকায়। ভাঙন রোধের কাজ জল পুরোপুরি না কমলে শুরু করা যাবে না। ফরাক্কার কুলিদিয়ারেও ৬০০ মিটার স্পার বাঁধানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু’দিন আগে আমরা সে এলাকা দেখেও এসেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy