— প্রতীকী ছবি।
আশঙ্কা ছিল, সোমবার থেকেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের অস্থি-আউটডোর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে! সেই রকমই নোটিস জারি করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। শেষ মুহূর্তে শান্তিপুর জেলা হাসপাতালের একমাত্র অস্থি চিকিৎসককে তুলে আনে স্বাস্থ্য দফতর। সুমন্ত মণ্ডল নামে সেই চিকিৎসকই এ দিন সামলেছেন শক্তিনগরের অস্থি-আউটডোর।
সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের আউটডোরে চলে এসেছিলেন ধুবুলিয়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের নাজমল শেখ। কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা। বলেন, “হাসপাতালে ঢুকেই নোটিসটা দেখে খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ডাক্তার না-দেখিয়েই আবার এতদূর ফিরে যেতে হবে ভেবে চোখে অন্ধকার দেখছিলাম। যাই গোক, ভাগ্যক্রমে সেটা হয়নি। কিন্তু রোগীদের কথা না-ভেবে ডাক্তারবাবুদের এই ভাবে চাকরি ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। বহু রোগী তাঁদের উপরে নির্ভরশীল। তাঁদের কথা কি একবারও মনে হল না তাঁদের? শুধু নিজেদের কথাই ভাবলেন?”
সুমন্তবাবু এ দিন বলছেন, “আমি অনেক আগেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থায়ী ভাবে চলে আসার জন্য আবেদন করে রেখেছি। এখানে স্থায়ী পোস্টিং পেলে ভালই হয়।” কিন্তু তাতে শান্তিপুর হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হবে। আবার এক জন চিকিৎসকের পক্ষে একা হাসপাতালের অস্থি বিভাগের আউটডোর ও ইনডোর সামলানো প্রায় অসম্ভব।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলছেন, “যত ক্ষণ না স্বাস্থ্য ভবন থেকে স্থায়ী পদে কোনও অস্থি চিকিৎসক পাঠানো হচ্ছে তত ক্ষণ আমরা অন্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে এ ভাবেই চালাতে বাধ্য।”
শক্তিনগরের দুই অস্থি-চিকিৎসক অঞ্জন সেনগুপ্ত ও শঙ্কর রায় শর্ত দিয়েছিলেন যে, চিকিৎসক-সংখ্যা বাড়াতে হবে। অঞ্জনবাবু বলছেন, “কাজে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বাধা নেই। আমরা শুধু চেয়েছি, চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানো হোক। স্থায়ী ভাবে চিকিৎসক বাড়ানোর পর আমাদের কাজে যোগ গিতে বললে আমরা যোগ দেব।”
যা শুনে তাপসবাবু বলছেন, “ওই চিকিৎসকদের ইস্তফা সংক্রান্ত ফাইল স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy