তিন নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল নওদা গ্রাম প়ঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে। শনিবার এ ব্যাপারে ওই নাবালিকাদের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
ঘটনার শুরু গত বৃহস্পতিবার। অভিযুক্ত গৌতম হালদারের পড়শি দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও একজন দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রজেক্টের খাতা জমা দিতে স্কুলে যায়। ফেরার পথে তাদের সঙ্গে দেখা হয় গৌতমের। অভিযোগ, সে ওই নাবালিকাদের জলঙ্গি-পাড়ে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।
পূর্ব পরিচিতির সুবাদে গৌতমের কথায় তারা সায় দেয়। উঠে পড়ে তার গাড়িতেই। গাড়িতে তুলেই গৌতমের ভাব বদলে যায়। সে জলঙ্গি-পা়ড়ের পরিবর্তে ওই পড়ুয়াদের জানায়, নদিয়ার পলাশিপাড়া হয়ে বেলডাঙা ঘুরিয়ে তাদের নওদা আনা হবে। এতেই অবশ্য ওই পড়ুয়ারা বিশেষ আপত্তি করেনি।
কিন্তু পলাশি মোড়ে এসে বেলডাঙার পরবর্তীতে গৌতম গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতার দিকে রওনা দেয়। পড়ুয়ারা চিৎকার শুরু করে। বেথুয়াডহরিতে তাদের চেঁচামেচিতে লোকজন জড়ো হয়। গৌতম গাড়ি থামাতে বাধ্য হয়। পড়ুয়ারা গাড়ি থেকে নেমে। এরই মধ্যে গৌতম গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়ি ফেরে ওই পড়ুয়ারা।
গৌতম শাসকদলের ব্লক নেতৃত্বের সাহায্য নিয়ে বিষয়ে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিল। এক অভিভাবক বলেন, ‘‘গৌতম তৃণমূলের ঘনিষ্ট। সে বলে, পুলিশের কাছে গেলে মেয়েদের বিয়ে হবে না।’’ কিন্তু শনিবার স্থানীয় বাজার সমিতির কাছে এই খবর পৌঁছয়।
সমিতির লোকজনের পরামর্শে ওই নাবালিকাদের পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক জুলফিকার আলি ভুট্টো বলেন, ‘‘ওই অভিভাবকেরা কেন পুলিশের কাছে যাবে না, তা বুঝতে পারছি না। এ তো দেখছি পাচারের ষড়য়ন্ত্র।’’
গৌতমের সাফাই, ‘‘অভিযোগ মিথেযে। ওদের মধ্যে আমার মামার মেয়ে ছিল। ওদের কথাতেই আমি বেথুয়াডহরি গিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy