জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।
জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ৭০০ গ্রাম। গর্ভে থাকাকালীন ভ্রূণ স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠেনি। জন্মের পরেই প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা তৈরি হয় নবজাতকের। তবে চিকিৎসকদের তৎপরতায় টানা ৪৯ দিন হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন মা। ঘটনাটি জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। নবজাতককে নতুন জীবন দিল ওই হাসপাতালের 'সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট' (এসএনসিইউ)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতি থানার সুজনিপাড়া এলাকার এক মহিলা গত ১৬ জুন প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গর্ভধারণের ৭ মাসের মধ্যেই নবজাতকের জন্ম দেন ওই মহিলা। জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিল প্রায় ৭০০ গ্রাম। সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্মালে সেই শিশুর ওজন কম হয়। শরীরের গঠনও তুলনামূলক ভাবে ছোট হয়। তার মধ্যে এই নবজাতক গর্ভাবস্থায় ছিল ৭ মাসেরও কম। সময়ের অনেক আগেই জন্ম নেওয়ায় বহু শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় নবজাতকের। সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গেই তৎপরতা দেখায় হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগ।
নবজাতককে বাঁচাতে পুরো মেডিক্যাল টিম নিয়ে লড়াই শুরু করেন চিকিৎসকেরা। প্রায় ৪৯ দিন ধরে টানা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ করে তোলা হয় ওই নবজাতককে। হাসপাতালের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে ওই শিশু এখন অনেকটাই সুস্থ। ওজনও বেশ খানিকটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন মা।
ওই শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক অরুণ শতপথী বলেন, ‘‘অনেক জটিলতা থাকা সত্ত্বেও হাল ছাড়িনি। পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা থাকলেও সহযোগী সবাইকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। শিশুটিকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠাতে পেরে সত্যি খুব আনন্দ হচ্ছে।’’ মহকুমা হাসপাতালে এই ধরনের চিকিৎসা পরিষেবার নজির বিরল বলে উল্লেখ করেছেন হাসপাতালের সুপার অভিনেশ কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy