সম্মাননীয়: কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ
দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, এনআইটি, আইআইটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিশ্বমানের গবেষণা এখন আর এ দেশে হয় না। বৃহস্পতিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম সমাবর্তনে এসে এমনই আক্ষেপ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
প্রণববাবু এবং সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমনকে এ বার সাম্মানিক ডি লিট ডিগ্রি দিয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। সাম্মানিক ডিএসসি ডিগ্রি দেওয়া হয় খড়গপুর আইআইটি-র অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তীকে। প্রণববাবুকে দেশ-বিদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয় এর আগে নানা সাম্মানিক ডিগ্রি দিয়েছে। সেই তালিকায় যোগ হল কল্যাণীও।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি হিসেবে দীক্ষান্ত বক্তৃতায় প্রণববাবু বলেন, ‘‘শিক্ষাক্ষেত্রে আরও বেশি খরচ করতে হবে। বিসমার্কের সময়ে জার্মানি যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে বিপুল টাকা খরচ করেছিল। তার ফলও জার্মানি পেয়েছিল।’’ প্রাক্-স্বাধীনতা যুগ থেকে শুরু করে নালন্দা, তক্ষশীলার গৌবরময় ইতিহাসের কথাও তিনি তুলে ধরেছেন। কবীর সুমন অনুযোগ করেন, সঙ্গীতকে কোনও সরকারই গুরুত্ব দেয় না।
এ দিন ২০৯ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদেরও ডিগ্রি ও স্মারক পদক দেওয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধতা জয় করে পড়া চালিয়ে যাওরার কৃতিত্বের জন্য তিন জনকে দেওয়া হয় ভাইস চ্যান্সেলর মেডেল ও সার্টিফিকেট। তাঁদের হাতে সেগুলি তুলে দিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
সমাবর্তনের শুরুতেই অবশ্য বিপত্তি বেধেছিল। কল্যাণীর বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস গিয়ে সটান বসে পড়েছিলেন মঞ্চের সামনের সারিতে। কবীর সুমন বসার জায়গা পাচ্ছিলেন না। তাঁর জন্য আলাদা চেয়ার আনা হয়। খানিক পরেই অবশ্য রমেনবাবু পিছনের সারিতে চলে যান। পরে সমাবর্তনের গোটা সময়টা তিনি সেখানেই বসে ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy