কাটমানির পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির। রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র
কাটমানি নিয়ে এ বার পোস্টার পড়ল শান্তিপুর শহরেও।
মঙ্গলবার সকালে শান্তিপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি ঘর দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতাকর্মীর নাম করে পোস্টার দেখা যায়। যদিও তৃণমূলের দাবি, তাদের মিথ্যা বদনাম করতেই বিজেপি নানা জায়গায় এই ধরনের পোস্টার ছড়াচ্ছে।
আগেও একাধিক বার চাপড়া, হাঁসখালি, কৃষ্ণগঞ্জ, কৃষ্ণনগরের মতো বেশ কিছু জায়গায় কাটমানি নিয়ে পোস্টার পড়েছে। তৃণমূলের রানাঘাট জেলা সাংগঠনিক সভাপতি শঙ্কর সিংহের বিরুদ্ধেও পোস্টার পড়েছিল যে তিনি নাকি কাটমানির জোরেই ওই পদ পেয়েছেন। শান্তিপুরের লিফলেটে বেশ কয়েক জনের নাম দিয়ে পাশে-পাশে সরকারি আবাস প্রকল্পের ঘর দেওয়ার জন্য কে কত টাকা নেতাদের দিয়েছেন, সেটাও লেখা হয়েছে। টাকা নিয়েছেন এমন কিছু নেতাকর্মীর নাম করেও অভিযোগ তোলা হয়েছে পোস্টারে। যদিও তার মধ্যে দলের কোনও বড় নেতা বা কাউন্সিলরের নাম নেই।
যাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে পোস্টারের দাবি, তাঁদের অনেকেই কিন্তু প্রকাশ্য টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি। এঁদের এক জন হরলাল দেবনাথ বলেন, “কে কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, জানি না। ঘরের জন্য আমার কাছ থেকে কেউ কোনও টাকা নেয়নি।” তবে টাকা দিয়ে থাকলেও তা প্রকাশ্যে স্বীকার করার যে বিপদ রয়েছে, তা-ও বলছেন ওঁদের অনেকে।
অভিযুক্ত নেতাদের অন্যতম কুঞ্জলাল ভৌমিক বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমরা কেউ কোনও টাকা নিইনি। এটা আমাদের বিরোধীদের চক্রান্ত।” তবে কারা সেই ‘বিরোধী’ তা স্পষ্ট করে বলতে চাননি তিনি। শান্তিপুর পুরসভার পুরপ্রধান, তৃণমূলের অজয় দে বলেন, “আমরা সমীক্ষায় পাওয়া তালিকা অনুযায়ী ঘর দিই। এ ক্ষেত্রে অনিয়মের জায়গা নেই। কারা টাকা নিল আর কারা টাকা দিল, কেনই বা দিল, সেটা পুরসভা বা দলের দেখার বিষয় নয়।”
এ দিনই কাটমানি ফেরত এবং একশো দিন কাজের কাজের প্রকল্পে আরও বেশি কাজ দেওয়ার দাবিতে কৃষ্ণনগর ১ ব্লকের রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। শৌচাগার তৈরির জন্য যাঁরা ন’শো টাকা করে দিয়ে বসে আছেন, তাঁদের দ্রুত তা চাইছেন। তৃণমূলের প্রধান অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘কাটমানির অভিযোগ ঠিক নয়। বাকিটা দাবিগুলি আমরা পূরণ করার চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy