রাত গভীর হলে শুনশান রাস্তায় হাজির হয়ে যান ওঁরা। বাইকের মোটরের আওয়াজে রাতের ঘুম লাটে ওঠে এলাকার বাসিন্দাদের। অভিযোগ, উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরির জন্য বাইকের সাইলেন্সার খুলে কেরামতি করা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে এই ‘স্টান্টম্যান’ বাইকচালকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা পুলিশ। জরিমানা আদায়ের কথাও জানিয়েছে তারা।
এলাকাবাসীর দাবি, গভীর রাতে নিজেদের মধ্যে বাইক প্রতিযোগিতা করেন কলেজ পড়ুয়া থেকে অল্প বয়সি যুবকেরা। বাজিও ধরেন তাঁর। বাজি জিততে জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না। অভিযোগ, দুর্ঘটনা বাড়ছে। আহত হচ্ছেন পথচলতি মানুষ। চলতি বছরে মাত্র ত্রিশ দিনে মুর্শিদাবাদে এ ধরনের দুর্ঘটনার সংখ্যা পঞ্চাশ পেরিয়ে গিয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
-
বন্ধ থাকছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগকারী বহরমপুর সেতু! বিকল্প পথে চলবে গাড়ি চলাচল
-
মুইজ্জুর মলদ্বীপকে সাহায্য বৃদ্ধির ঘোষণা নির্মলার বাজেটে! কত টাকা বরাদ্দ হল বাংলাদেশের জন্য?
-
বুদ্ধস্মৃতিবিজড়িত স্থানে বিশেষ নজর, দেশে ৫০টি পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নে প্রকল্প, ঘোষণা নির্মলার
-
জনগণনা এ বছরও হচ্ছে না? নির্মলা সীতারামনের বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে
কী ভাবে সাইলেন্সারের পরিবর্তন করে বদলানো হচ্ছে শব্দ? বহরমপুর পঞ্চানন তলা মোড়ের এক গ্যারেজ কর্মী বলেন, ‘‘বাইকের সাইলেন্সার মডিফিকেশনের দুটো পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমটি, বাইকের ডিবি কিলার পরিবর্তন। আর দ্বিতীয়টি, বাইক কেনার সময় তাতে লাগানো সাইলেন্সার খুলে থার্ড পার্টি সাইলেন্সার লাগানো।’’
ওই কর্মী জানিয়েছেন, ডিবি কিলার হল বাইকের শব্দ কমাতে সাহায্য করে। সেটি খুলে নিলে এক ধাক্কায় মোটরের গোঙানি অনেকটা বেড়ে যায়। অন্য দিকে, বাজারে বিভিন্ন থার্ড পার্টি কোম্পানির সাইলেন্সার পাওয়া যায়। দাম শুরু হয় হাজার দেড়েক টাকা থেকে। সাধারণত কম দামের সাইলেন্সারগুলি থেকেই বিকট শব্দ হয়। বেশি দামের সাইলেন্সারগুলি সরকারি আইন অনুসারে শব্দবিধি মেনে তৈরি করা হয়।
বাইকের শব্দ পরিবর্তনের ফলে বাইকের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি তেল খরচও হয় বেশি। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে সাইলেন্সার পরিবর্তন যাঁরা করছেন এবং গভীর রাতে নিয়ম ভেঙে যাঁরা বাইক চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে।’’