২০২৫ সালেও কি হবে না জনগণনা? বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ দেখে তেমন প্রশ্নই তুলছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, চলতি অর্থবর্ষে জনগণনা, জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) খাতে ৫৭৪.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অন্তর্বর্তী বাজেটে জনগণনার খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১,২৭৭.৮০ কোটি টাকা। পূর্ণাঙ্গ বাজেটে তা কমিয়ে করা হয় ৫৭২ কোটি টাকা। এ বারও বরাদ্দ প্রস্তাব রইল প্রায় একই। যেখানে এই জনগণনা এবং এনপিআর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের খরচ হতে পারে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বলে সূত্রের খবর।
২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা একটি বৈঠক করে। সেখানে ২০২১ সালের জনগণনার জন্য প্রস্তাবিত ৮,৭৫৪.২৩ কোটি বরাদ্দে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এনপিআরের জন্য প্রস্তাবিত ৩,৯৪১.৩৫ কোটি বরাদ্দেও অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ জুড়ে জনগণনা এবং এনপিআর চালানোর পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু অতিমারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। সেই থেকে থমকে রয়েছে জনগণনার প্রক্রিয়া। নতুন করে দিনঘোষণা করেনি সরকার।
শনিবার ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় নির্মলা জানিয়েছেন, জনগণনা, সমীক্ষা, রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (আরজিআই) খাতে ৫৭৪.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় এ বার অনেকটাই কমানো হয়েছে বরাদ্দ। ওই বছর ৩,৭৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল এই খাতে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই খাতে বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছিল ৫৭২ কোটি। যদিও অন্তর্বর্তী বাজেটে এই বরাদ্দ ছিল বেশি। এই অর্থবর্ষের বরাদ্দও প্রায় গত বারেরই মতো একই। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বরাদ্দের তুলনায় এ বারও বরাদ্দের এই হ্রাস দেখে মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরেও হবে না জনগণনার প্রক্রিয়া। প্রসঙ্গত, এই জনগণনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের খরচ হবে ১২ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:
এ বারের জনগণনা প্রক্রিয়া এই প্রথম ডিজিটাল হতে চলেছে। কোনও নাগরিক চাইলে নিজেই অনলাইনে এনপিআর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দাখিল করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁকে সরকারি তথ্য সংগ্রহকারীকে তথ্য দিতে হবে না। একটি পোর্টালে তথ্য দাখিল করতে হবে। সূত্রের খবর, প্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। যে পোর্টালে এই তথ্য দাখিল করতে হবে, তা যদিও এখনও চালু করা হয়নি। জণগণনার সময় নাগরিকদের প্রায় ৩৬টি প্রশ্ন করা হবে। সেই প্রশ্নের তালিকা তৈরি করেছে রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জণগণনা কমিশনারের দফতর। পরিবারে মোবাইল, টেলিফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সংযোগ, সাইকেল, মোটরবাইক, গাড়ি রয়েছে কি না, এই প্রশ্ন করা হবে। পাশাপাশি, কোন দানাশস্য খান, বাড়িতে টিভি রয়েছে কি না, বাড়ির মেঝে পাকা কি না, এ সব প্রশ্নও থাকবে জনগণনায়।