বাজেয়াপ্ত: রানিনগরে উদ্ধার হওয়া গাঁজা। — নিজস্ব চিত্র
সীমান্তের পথে ধুলে উড়িয়ে ছুটছে একটি ছোট গাড়ি। পিছনে পুলিশের একটি লজঝড়ে জিপ।
মঙ্গলবার সকালে রানিনগরের লোকজন ভেবেছিলেন, কোনও ভিআইপিকে পুলিশ বোধহয় ‘এসকর্ট’ করে নিয়ে যাচ্ছে। আচমকাই সামনের গাড়ির গতি গেল বেড়ে। পুলিশ পড়ল বিপাকে। ততক্ষণে গোটা গ্রাম বুঝে গিয়েছে, সামনের গাড়িতে ভিআইপি নয়, গাঁজা রয়েছে। অতএব টানটান চোর-পুলিশ খেলা! এ দিকে সেই ছোট গাড়ি হাওয়া। চাকার দাগ দেখে পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে এক গলি থেকে আর এক গলি। কিছুটা যাওয়ার পরেই দাগ-টাগ সব উধাও। কারণ, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে জল ঢেলে রাস্তা কাদা করে দেওয়া হয়েছে।
তাতেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। একটি সরু গলির ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ছোট গাড়ি থেকে পুলিশ ১২৫ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। পাচারের অভিযোগে মাসাদুল বিশ্বাস ও সেন্টু শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। চালক অবশ্য পালিয়েছে। ধৃতেরা ইসলামপুরের মোক্তারপুর ও দৌলতাবাদের রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা। আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তাড়া করে বহু চোর, পাচারকারী ধরেছি মশাই। কিন্তু গাড়ির চাকার দাগ মুছতে ধুলো রাস্তা কাদা করে দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম দেখলাম। তবে সব এলাকাতেই আমাদেরও তো কিছু লোকজন থাকে।’’
এর আগেও সীমান্তের করিমপুর, ডোমকল, রানিনগরের রাস্তা থেকে এমন বহু গাড়ি আটক করা হয়েছে যেখানে লেখা ছিল ‘পুলিশ’ কিংবা ‘প্রেস’। পুলিশ ও বিএসএফের চোখে ধুলো দিতে সেটাই ছিল পাচারকারীদের কৌশল। সীমান্তের করিমপুরেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy