নিজস্ব চিত্র।
বৈষ্ণবদের নিজস্ব রাসোৎসব মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের উৎসাহে বৈষ্ণবীয় ধারা থেকে বদলাতে শুরু করে। আনুমানিক ১৭৫২ থেকে ১৭৫৬ সালের মধ্যবর্তী কোনও সময়ে কৃষ্ণচন্দ্র তাঁর রাজত্বে শক্তিপুজোর প্রসার ঘটাতে রাস পূর্ণিমাকে বেছে নেন। শুরু হয় তন্ত্রমতে শক্তিমূর্তির সাড়ম্বর পুজো।
হাতে গোনা মাটির প্রতিমা দিয়ে যে রাসের শুরু তা ২০২০ সালে এসে ৩৬৮টি প্রতিমায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে নবদ্বীপ পুর এলাকায় এ বার হচ্ছে ২৯৪টি পুজো। তার মধ্যে অনুমোদিত পুজোর সংখ্যা ২১৬টি। নবদ্বীপ শহর সংলগ্ন বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ৭৪টি রাসের প্রতিমা পুজো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি পুজো হচ্ছে বাবলারিতে। সেখানে প্রতিমার সংখ্যা ৩০টি। মাজদিয়া-পানশীলা পঞ্চায়েতে ১৯টি, মহিশুরা পঞ্চায়েতে ১২টি, চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতে ৯টি, স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতে ৪টি পুজো হচ্ছে।
করোনা আবহে জারি হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। আগে বলা হয়েছিল, সর্বোচ্চ ছ’টি পর্যন্ত ঢাক এক-একটি পুজো কমিটি ব্যবহার করতে পারবে। পরিবর্তিত নিয়মে জানানো হয়েছে— ১) রাসে ঢোল-সানাই বা ডগরের ব্যবহার চলতে পারে। ২) বাজনাদারের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছয়। ৩) ক্যাসিও-ব্যাঞ্জো-তাসা এবং ডিজে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ৪) মণ্ডপ থেকে দূরে নির্দিষ্ট জায়গা ব্যারিকেড করে তার মধ্যে বাজনা বাজাতে হবে। ৫) বাজনা নিয়ে রাস্তায় ঘোরা নিষিদ্ধ। ৬) রাত ১০টার মধ্যে বাজনা বন্ধ করতে হবে।
নবদ্বীপের আইসি কল্লোল কুমার ঘোষ বলেন, “এরপর যদি কেউ নিয়মভাঙার চেষ্টা করেন তা হলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”
রবিবার থেকে নবদ্বীপ শহরে যানবাহনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রন করা শুরু হয়েছে। ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড বসানো হয়েছে কোলেরডাঙা সারস্বত মঠ (জলমন্দির), ইদিলপুর রেলগেট, ব্যাদরাপাড়া রেলগেট, কুটিরপাড়া এবং বাবলারি পঞ্চায়েতের সুভাষনগরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy