খেলা চলছে শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে। ছবি: প্রকাশ পাল।
নানা সময় নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েছে মেয়েদের ফুটবল। কিন্তু দমিয়ে রাখা যায়নি। বাংলার নানা প্রান্তেও দাপিয়ে ফুটবল খেলে কিশোরীরা, নানা প্রতিকূলতাকে হারিয়েই। রবিবার শ্রীরামপুর রেফারিজ় অ্যান্ড আম্পায়ার্স’ অ্যাসোসিয়েশনের ৭৫তম বর্ষপূর্তির সূচনা হল মহিলা খেলোয়াড়দের সম্মান জানিয়েই। মেয়েদের প্রদর্শনী ম্যাচ হল। বাঁশি মুখে এবং সহকারী রেফারি হিসাবে মাঠ শাসন করলেন মেয়েরাই। সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি প্রাক্তন ও বর্তমান একঝাঁক রেফারি, আম্পায়ার, বিভিন্ন খেলার কর্মকর্তারা তাঁদের উৎসাহ দিলেন।
সকালে শ্রীরামপুরে সংগঠনের তাঁবুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনের পতাকা তোলেন জেলা পরিষদের ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। তার পরে পদযাত্রা বের করা হয় সংলগ্ন গান্ধী ময়দান থেকে। শেষ হয় শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে। সেখানেখেলা হয়।
প্রতিদ্বন্দ্বী দু’টি দল ছিল হুগলির কামারকুণ্ডুর কেসিসি ফুটবল অ্যাকাডেমি এবং উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের আদিবাসী ইউনাইটেড ফুটবল অ্যাকাডেমি। ৬০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। গোল না হলেও প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি খেলা হয়। প্রাধান্য বেশি ছিল কামারকুন্ডুর দলটির। তাদের একাধিক গোলমুখী আক্রমণ রুখে দেন শ্যামনগরের গোলরক্ষক অণিমা মুর্মু । তার খেলা মনে ধরে দর্শকের। খেলা শেষে তাকে এবং বিপক্ষের গোলরক্ষক সুদীপা রায় পুরস্তকার দেওয়া হয়।
রেফারির দায়িত্ব পালন করলেন পারমিতা ঘোষ। সহকারী রেফারি ছিলেন সোমা মুর্মু এবং রূপালি বাগ। নন্দিনী ঘোষ ছিলেন চতুর্থ রেফারি।
উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফিফা রেফারি গোপীনাথ পাইন, সহকারী রেফারি বিপ্লব পোদ্দার থেকে একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান জাতীয় রেফারি। হকি আম্পায়ার, অ্যাথলেটিক্সের কর্তারা এবং ক্রিকেটের আম্পায়াররাও ছিলেন। প্রাক্তন ফুটবলার সুপ্রিয় দাশগুপ্ত, প্রবীণদের আন্তর্জাতিক অ্যাথলিট নির্মল সরকার, শ্রীরামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ এসেছিলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব গোস্বামী জানান, বিশেষ বছরটি উপলক্ষে খেলাধুলো এবং সামাজিক কর্মসূচির নানা পরিকল্পনা রয়েছে।
রেফারি, আম্পায়াররা খেলা পরিচালনা করেন। তাঁরাও ময়দানি ঘাসের অবিচ্ছেদ্দ অংশ। তাঁদের ঘিরেও তৈরি হয় মাঠের রূপকথা। সেই টানে মেয়েরাও আসছেন বাঁশি মুখে মাঠ শাসনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা দর্শকের সামনে ফুটবলার এবং রেফারি হিসাবে মেয়েদের ক্ষিপ্রতা দেখে ক্রীড়াকর্তারা বলছেন, এই আকাঙ্ক্ষা বাড়ুক। তাতে বাংলা তথা দেশের খেলারইমান বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy