জিয়াগঞ্জে মৃত শিক্ষকের পরিবার। —ফাইল চিত্র।
জিয়াগঞ্জের শিক্ষক খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। বিজয়া দশমীর দুপুরে সপরিবার খুন হন জিয়াগঞ্জের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে, ১৫ অক্টোবর মূল অভিযুক্ত, পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহেরাকে সাগরদিঘির সাহাপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বন্ধুপ্রকাশের গ্রামের বাড়িও সাগরদিঘির সাহাপুরেই। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ৮২ দিনের মাথায়, গত মঙ্গলবার চার্জশিট জমা দিল পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর দুপুরে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল ও তাঁদের ছ’বছরের ছেলে অঙ্গন পালকে। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব বলেন, ‘‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। শুনানিও যাতে দ্রুত হয় তার জন্য পুলিশের যা যা করণীয় সেগুলোও করা হচ্ছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৪০০ পাতার একটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে প্রায় ৭০ জনেরও বেশি সাক্ষীর নাম রয়েছে। বৃহস্পতিবার উৎপলকে লালবাগের এসিজিএম সুপর্ণা রায়ের এজলাসে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক বিচারকার্য শুরু করার জন্য মামলাটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে স্থানান্তরিত করেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আগামী ২১ জানুয়ারি উৎপলকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এবং তত দিন উৎপল জেল হেফাজতেই থাকবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারক।
এ দিন সরকার পক্ষের আইনজীবী অরুণকুমার পাইক বলেন, ‘‘এ দিন বিচারক বিচারকার্য শুরু করার জন্য মামলাটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে স্থানান্তরিত করেন। এ দিন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী উৎপলের জামিনের জন্য আবেদন জানাননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy