গ্রাফিক— সনৎ সিংহ
অসুস্থতা নিয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। হাসপাতালে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। বিশ্বাস করে সেই যুবককে নিজের ফোন নম্বরও দিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই সেই নম্বরে আসতে থাকে একের পর এক অশ্লীল মেসেজ। ফোন করে তাঁকে অশালীন প্রস্তাবও দিতে শুরু করেন ওই যুবক। ঘটনায় বিপর্যস্ত ওই মহিলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই যুবককে।
ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের। চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু দিন আগে সেখানেই ওই ভর্তি হয়েছিলেন ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগে তিনি লিখেছেন, ‘‘হাসপাতালে চিকিৎসা পরবর্তী কোনও অসুবিধা হলে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য আমার নম্বরটি চেয়ে নিয়েছিলেন ওই যুবক। সরল বিশ্বাসে নম্বরটি দিয়েও দিই। প্রথমে দু’এক দিন ভালভাবে কথা বললেও, কয়েক দিন পর থেকেই বিভিন্ন রকম খারাপ প্রস্তাব দিতে শুরু করেন তিনি। এর পরে ফোনের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দিলে অশ্লীল ছবি পাঠাতে শুরু করেন। বাধ্য হয়েই হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ জানাই।’’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি বহরমপুর থানাতে জানানো হয়। শনিবারই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতেও তোলা হয়। বিচারক ওই যুবককে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ফিরোজ শেখ। তার বাড়ি শক্তিপুর এলাকায়। তিনিও ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যই এসেছিলেন। দু’জনের মধ্যে পরিচয় হয়। ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসক সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার কথা বলেন। সে ব্যাপারেই পরামর্শ দেবেন জানিয়ে ফোন নম্বর নেন। মহিলা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই তাঁকে বিরক্ত করতে শুরু করেন।
শনিবার শক্তিপুর থেকেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে বহরমপুর থানার পুলিশ। পরে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজেদ ইকবাল বলেন, ‘‘হাসপাতালের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তদন্ত চলছে।’’ তবে মেডিক্যাল কলেজের চৌহদ্দির মধ্যে এই ধরনের ঘটনা কী করে ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy