—প্রতীকী চিত্র।
মুর্শিদাবাদে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ১১ অগস্ট নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার পরের দিন (১২ অগস্ট) থানায় অভিযোগ জানান নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে একে একে চার জন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ মেলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম গ্রেফতারি। ঘটনার নয় দিনের মাথায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হয় দুই। এর পর একে একে বাকিদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। ২১ অগস্টের মধ্যেই চার অভিযুক্তকে নাগালে পান পুলিশকর্মীরা। ধৃতদের ডোমকল এসিজেএম আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাঁদের ১৩ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন।
নবম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রী ১১ অগস্ট বিকালে তার প্রেমিকের সঙ্গে একটি মাঠে ঘুরতে গিয়েছিল। এর পর সন্ধ্যা নেমে আসলে সেখানে এক স্থানীয় ব্যক্তি তাদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। তখন ওই ছাত্রী ও তাঁর বন্ধু পালানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ফোন করে আরও কয়েক জনকে ডেকে আনেন। অভিযোগ উঠছে, এর পর ছাত্রীর বন্ধুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পরদিন দায়ের হয় অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। ১৯ অগস্টের মধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত দু’জনকে জেরা করে বাকিদেরও সন্ধান পায় পুলিশের তদন্তকারী দল। তল্লাশি চালিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে অতীতেও অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মাদক মামলা ও চুরির মামলাও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ধৃতদের মধ্যে কয়েক জন অতীতে জেলও খেটেছেন বলে সূত্রের দাবি। মুর্শিদাবাদের ওই ঘটনা প্রসঙ্গে ডোমকল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভম বাজাজ জানিয়েছেন, “অভিযোগের তদন্ত নেমে প্রথম দিন থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল এক জনকে। কয়েক দিনের মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারিতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যেরা। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, “যা হয়েছে তা কোনও দিন বদলানো যাবে না। কিন্তু অভিযুক্তেরা যে গ্রেফতার হয়েছেন, তাতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। এ বার ওঁদের উপযুক্ত বিচার যেন হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy