জ্বলছে লরি। ইনসেটে, মৃত দীপাঞ্জন বণিক। রবিবার খাঁপুরে। নিজস্ব চিত্র
লরি চাপা পড়ে এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কোতোয়ালি থানার খাঁপুর এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ইট বোঝাই ওই লরিটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী সেখানে গেলে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের মানুষ। আটকে রাখা হয় শিশুটির মৃতদেহ। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে লরিটি করিমপুর-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক থেকে খাঁপুরের ভিতর দিয়ে কৃষ্ণনগর–মাজদিয়া রাজ্য সড়কে যাচ্ছিল। সেই সময়ে খাঁপুরের রাস্তা দিয়ে সাইকেলে চেপে বাড়ির ফিরছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র দীপাঞ্জন বণিক ওরফে নীল (৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তা সরু হওয়ায় লরির সঙ্গে আটকে যায় ওই শিশুটির সাইকেল। শিশুটি চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার করে ওঠে পথচলতি মানুষজনও। কিন্তু চালক লরি থামায়নি। শিশুটি এই অবস্থায় লরির চাকার তলায় পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লরির চালক ছুটে মাঠের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়। এর পরই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। তাঁরা লরিতে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আসে দমকল বাহিনী। কিন্তু আগুন নেভানোর জন্য তাদের লরির কাছে যেতে দেওয়া হয় না।
এর পর শিশুটির মৃতদেহ দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখা হয়। দুর্ঘটনায় মৃত শিশুর দেহ পুলিশকে তুলতে দেওয়া হয় না। খবর পেয়ে আরও পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানা। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা অত্যন্ত সঙ্গীর্ণ। তার পরেও এই রাস্তা দিয়ে ইট-মাটির লরি ও ট্রাক্টর প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। প্রায় দিনই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এই রাস্তা দিয়ে যাতে আর কোনও লরি বা ট্রাক্টর যাতায়াত না করে, সেই দাবিতেই শিশুর দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে দেহ উদ্ধার পরে ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy