সাগরে সেজে উঠছে নতুন স্নানের ঘাট। ছবি: সমরেশ মণ্ডল।
নানা সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরের সামনে একাধিক সৈকত ভেঙেচুরে গিয়েছে। আবার প্রাকৃতিক উপায়েই তৈরি হয়েছে নতুন একটি সৈকত। সেই নতুন সৈকতে এ বারে পুণ্যস্নান করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। চলছে সাজসজ্জা।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মেলা প্রাঙ্গণের পুরনো ১ নম্বর সৈকত একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন তৈরি হওয়া সৈকতটিকেই এ বার ‘১ নম্বর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূল মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বেশ কিছুটা দূরে হলেও এ বারের মেলায় বেশিরভাগ পুণ্যার্থীকে এই সৈকতেই আনা হবে। তাঁরা যাতে গঙ্গাসাগর বাস স্ট্যান্ড থেকে সোজা এই সৈকতে পৌঁছতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মেলা চলাকালীন ২, ৩ এবং ৪ নম্বর ঘাটে স্নান বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে ১, ৫ এবং ৬ নম্বর স্নানঘাট তৈরি করা হচ্ছে। মন্দির থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের এই স্নানঘাটগুলি নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, “নতুন ঘাট তৈরি করছি না। তবে প্রশস্ত রাস্তা, পানীয় জলের সুবিধা, শৌচাগার এবং উন্নত আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূল উদ্দেশ্য, মেলায় বেশি পুণ্যার্থীর থাকার ব্যবস্থা-সহ নিরাপদে স্নানের সুবিধা দেওয়া।”
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এই তীর্থস্থান রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। ভাঙন মোকাবিলায় আইআইটি চেন্নাইয়ের সুপারিশে একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করা হয়েছে। প্রযুক্তি পরামর্শের জন্য নেদারল্যান্ড সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৬৭ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সাহায্য না পাওয়ায় রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগেই ভাঙন রোধের পরিকল্পনা করছে।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “১ নম্বর স্নানঘাট ভাল করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। যাতে পুণ্যার্থীরা সব ধরনের সুবিধা পান। ভাঙনের কারণে কয়েকটি স্নানঘাট বন্ধ রাখা হবে। প্রস্তুতির কাজ শেষ হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরে স্নান ঘাটগুলি পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy