—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দু’বার দুবাই গিয়েছিল মুর্শিদাবাদ থেকে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত সাজিবুল ইসলাম। আনসারুল্লাহ বাংলা শাখার সঙ্গে যোগসূত্রেই কি ভিন্দেশে পাড়ি দিয়েছিল সে? জানার চেষ্টা করছে অসম এটিএফ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। আরও তথ্য জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
রবিবার মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য শাব শেখের পিসতুতো ভাই সাজিবুলকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম পুলিশের এসটিএফ। আদতে কাঠ এবং কাচের মিস্ত্রির কাজ করত সাজিবুল। জীবনযাত্রা অতি সাধারণ। সেই অবস্থায় কী ভাবে মাসে দু’বার দুবাই গেল সাজিবুল, ওই খরচ কোথা থেকে পেয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশি জঙ্গি শাবের তুতো ভাই সাজিবুলের এই দুবাই যাওয়ার সঙ্গে ভারত-বিরোধী জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে অসম পুলিশ। শুধু ভিন্দেশ নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়াত সাজিবুল। ঠিক কী কাজে সে যেত, সেই তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
চলতি মাসে শাবকে কেরল থেকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ১৮ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার আজমতপাড়া থেকে মিনারুল শেখ এবং নিশ্চিন্তপুর এলাকার মহম্মদ আব্বাসকে পাকড়াও করা হয়। ওই দু’জনও বাংলাদেশি। তবে তারা ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বানিয়ে নিয়েছিল। এদের সঙ্গে কেরল থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বাংলাদেশের জঙ্গি শাব। রবিবার শাবের পিসতুতো ভাই সাজিবুলকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, চাষবাসের পাশাপাশি বাড়ির দরজা-জানালায় কাচ বসানো এবং টুকটাক আসবাবপত্র তৈরির কাজ করত সে। সাজিবুলের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরেই সে দুবাই গিয়েছিল। তা ছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়াত। জিজ্ঞেস করলে বলে, কাজে যাচ্ছে। তবে কী কাজ, কেউ জানেন না। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গি শাবকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং পাসপোর্ট বানানোর সময় তাকে সাহায্য করেছিল সাজিবুল। এ নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে তদন্তকারীদের সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy