—ফাইল চিত্র।
প্রশ্নটা শেষতক ঝুলেই থাকল।
প্রতি পুর-ভোটের আগেই অবশ্য প্রশ্নটা শহরময় ঘুরে বেড়ায়। রং-বেরঙের রাজনীতির দাদারা প্রশ্নটার উত্তরও উড়িয়ে দেয় বহরমপুরের আকাশে। কিন্তু ফল মেলে না।
পুর-ভোটের আগে, এ বারও সে প্রশ্ন উড়ছে, সঙ্গে উত্তর— বহরমপুর এ বার কর্পোরেশন হবে!
জনসংখ্যার বিচারে বহরমপুর পুরসভা কর্পোরেশন হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও খাতায় কলমে তা আর হয়ে ওঠেনি। ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু স্বপ্নটা শেষতক অধরাই থেকে যায়।
১৯৮৬ সাল থেকে কংগ্রেস এই পুরসভা শাসন করছে। তখন ছিল ‘সি’ ক্যাটেগরির পুরসভা। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি এই পুরসভায় কংগ্রেস কাউন্সিলরদের দলবদলের ফলে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। দাবি মেনে পুরসভার পদোন্নতি হয়েছে,‘বি’ ক্যাটাগরি। কিন্তু কর্পরেশনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।
নিয়ম অনুযায়ী পুরসভার জনসংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়ালেই তা কর্পরেশন হওয়ার দাবিদার। কংগ্রেসের দাবি, বহু দিন আগেই এই শহরের জন সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলেন, “বাম আমলে একাধিক বার আবেদন করা হয়েছে, পালাবদলের পরে নবান্নে, জনসংখ্যার হিসাব দিয়ে শহরের মানচিত্র বাড়িয়ে আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম, শহরটাকে কর্পোরেশন করুন। সাড়া মেলেনি।’’
২০০৩ এবং ২০১৩ সালের দু’বারই পুরভোটেই কংগ্রেস শহরের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল কর্পোরেশনের। এ বারের ভোটেও কর্পোরেশনের গাজর ঝুলিয়ে রেখেছে তারা। জয়ন্ত বলছেন, “২০০১ সাল থেকে বহরমপুরের কাছাকাছি লালবাগ জিয়াগঞ্জ নিয়ে একটা কর্পরেশনের দাবি তুলে আসছি। কিন্তু সরকার কতটা পাশে দাঁড়াবে, জানি না।”
পুরসভা কর্পোরেশন হলে সরকারি অর্থ বরাদ্দ যেমন বাড়বে তেমনই কর্মসংস্থানও হবে বলে বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন। পৌর পরিষেবা নাগরিকরা বেশি পাবেন। অথচ যত দিন গিয়েছে তত খারাপ হয়েছে বহরমপুরের নাগরিক পরিষেবা। কালো পিচের রাস্তা হয়েছে ধুসর। নিকাশি নালার বেহাল দশা। ত্রিফলা আলোয় শহর সাজাতে গিয়ে বেশিরভাগ ওয়ার্ড অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে বলে বহরমপুরের মানুষের দাবি। সৈদাবাদের বাসিন্দা শেফালি মালাকার বলেন, “পানীয় জল সরবরাহ ঠিক মতো হয় না। পুর পরিষেবা বলে গর্ব করার মতো কিছুই নেই।” অথচ কর্পরেশনের স্বপ্নই হতে চলেছে কংগ্রেস-তৃণমূলের মূল ভরসা।
শহর তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভার দায়িত্ব নিয়েই তৃণমূল সরকার সি থেকে বি ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছে। কাঠামোগত উন্নতি হয়েছে পুরসভার। আমরাই বহরমপুরকে কর্পরেশন করতে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy