মৃত পুত্রের ‘আত্মা’ ফিরিয়ে নিতে হাসপাতালে বাবা-মা। প্রতীকী ছবি।
দু‘বছর আগে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল হাসপাতালে। মৃত পুত্রের ‘আত্মা’ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সেই হাসপাতালে হাজির হলেন তাঁর বাবা-মা। সঙ্গে হাজির হলেন আত্মীয়েরাও। হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে যুবকের মৃত্যু হয়, সেই ওয়ার্ডের বাইরে ধূপ, ধুনো, প্রদীপ জ্বেলে রীতিমতো মন্ত্রোচ্চারণ করে পূজাপাঠ করা হয়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের বুন্দি জেলায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুন্দির জেলা হাসপাতালে বছর দুয়েক আগে মৃত্যু হয়েছিল খিয়া গ্রামের ওই যুবকের। তাঁর বাবা-মায়ের বিশ্বাস পুত্রের ‘আত্মা’ হাসপাতালের ট্রমা ওয়ার্ডে রয়েছে। তাই পুত্রের ‘আত্মা’কে গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। গ্রাম থেকে আত্মীয়দের নিয়ে বুন্দি জেলা হাসপাতালে পৌঁছন ওই যুবকের বাবা-মা। সঙ্গে পূজোর উপকরণও নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আচমকাই ট্রমা ওয়ার্ডের বাইরে পূজাপাঠ করতে শুরু করেন কয়েক জন। ওয়ার্ডে ঢোকার মুখে এক যুবকের ছবি রাখা হয়। তার পর সেই ছবিতে মালা পরিয়ে, ছবির সামনে লাড্ডু দিয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করতে থাকেন তাঁরা। তার পর ওয়ার্ডে ঢুকে ধূপ, ধুনো দেখান তাঁরা। হাসপাতালের যে বেডে যুবকের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে প্রদীপ, ধূপ দেখিয়ে আবার ওয়ার্ডের বাইরে চলে আসেন তাঁর বাবা-মা। এক মহিলা চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন। তার পর যে প্রদীপ ওয়ার্ডে দেখানো হয়েছিল সেটিকে একটি কলসিতে ভরে গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। যুবকের বাবা-মায়ের দাবি, তাঁর পুত্রের ‘আত্মা’ ওই প্রদীপ। তাঁকেই গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়। কী ভাবে ওয়ার্ডের মধ্যে এমন কাণ্ড ঘটল, কাদের গাফিলতিতে এই কাণ্ড ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। এই প্রথম নয়, এর আগেও ওই হাসপাতালে এক মৃত শিশুর ‘আত্মা’কে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিলেন তার বাবা-মা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy