—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূল বিধায়কের আপ্তসহায়ক পরিচয় দিয়ে নদিয়া-মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন থানার আধিকারিক এবং তৃণমূলের সাংগঠনিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগে এক যুবক গ্রেফতার বীরভূমের সিউড়ি থেকে। ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ দে। বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেনের আপ্তসহায়কের পরিচয় দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে।
সৌমিক দাবি করেন, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার নাকাশিপাড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিকের থেকে তিনি জানতে পারেন, বিধায়কের আপ্তসহায়ক পরিচয় দিয়ে ওই এলাকার এক পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। খোঁজখবর শুরু করতেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নদিয়া জেলা পরিষদের এক সদস্যের কাছ থেকেও তাঁর নাম ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা তুলেছেন যুবক। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সহকারী সভাপতি আতিবুর রহমানের কাছ থেকে দু’দিন আগে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
বিধায়ক জানিয়েছেন, এ সব জানার পরেই মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সাইবার থানায় এবং ইসলামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তার ভিত্তিতেই বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সৌমিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন সূত্র মারফত প্রতারণার খবর পেয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে জানাই। অভিযুক্তের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’
ধৃতকে শুক্রবার আদলতে হাজির করানোর কথা ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সৌমিকের আইনজীবী ইমতিয়াজ কবীর বলেন, ‘‘ওকালতনামা জমা করা হয়েছে। ধৃতকে পরে আদালতে পেশ করা হবে। বিধায়কের নাম করে প্রতারণা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy