মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। — ফাইল চিত্র।
জরায়ুমুখ ক্যানসার (সারভাইক্যাল ক্যানসার) নির্ণয়ের জন্য আর জেলার রোগীদের কলকাতা ছুটতে হবে না। এ বারে বাড়ির কাছেই মহকুমা হাসপাতাল বা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই এই রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, জরায়ুমুখ ক্যানসারের বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে রোগী চিহ্নিত করা হচ্ছে বাড়ির কাছে থাকা ‘সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে’। তার পরে সেই রোগীকে মহকুমা হাসপাতালে কিংবা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্ণয় করা হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ পার্থপ্রতিম গুপ্ত বলেন, ‘‘এখন অনেকেরই জরায়ুমুখে ক্যানসার হচ্ছে। সময় মতো পরীক্ষার না হওয়ার কারণে শেষ মূহূর্তে সেই রোগ ধরা পড়ছে। কিন্তু এখন মুর্শিদাবাদের মহিলাদের এই রোগ নির্ণয়ের জন্য আর কলকাতা ছুটতে হবে না। এখানেই মহকুমা হাসপাতালগুলির পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা করা হচ্ছে। যার জেরে এই জেলার মানুষের উপকার হল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘হাসপাতালগুলিতে কল্পোস্কপি যন্ত্র বসানোর পাশাপাশি কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। সেই মতো সব জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও নিরাময় কেন্দ্র (হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার) প্রকল্প রয়েছে। যার এ রাজ্যের পোশাকি নাম ‘সু স্বাস্থ্য কেন্দ্র’। জেলায় থাকা উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন করে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। জেলায় মোট ৮৩২টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। ইতিমধ্যে ২৯০ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সুস্বাস্থ্যে কেন্দ্রে উন্নীত হয়েছে। বাকিগুলি ধাপে ধাপে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উন্নিত হবে। আর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলুতে ১২টি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রাথমিক শণাক্তকরণ হচ্ছে। সেখান থেকে মহকুমা হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিহ্নিত রোগীদের পাঠানো হচ্ছে। কল্পোস্কপি যন্ত্রের সাহায্যে নির্ণয় করা হচ্ছে জরায়ুমুখ ক্যানসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy