দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাতে খাবার পরিবেশন করছেন তাপস সাহা। নিজস্ব চিত্র।
সকালে তল্লাশি অভিযান শেষ করে চলে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার পর সন্ধ্যায় ভূরিভোজের আয়োজন করা হল নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে। পাত পেড়ে বিধায়কের বাড়িতে কব্জি ডুবিয়ে মাংসভাত খেলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। তাপস যদিও দাবি করেছেন, খুশির ইদ বলেই কর্মী-সমর্থকেরা ‘বায়না’ করেন। তাই তিনি না করতে পারেননি।
শুক্রবার বিকেলের দিকে তাপসের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। তার পর থেকে টানা তল্লাশি চালানো হচ্ছিল তাঁর বাড়িতে। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ তল্লাশি অভিযান শেষ করে তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। এর পর সন্ধ্যায় বিধায়কের বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়। তাপসের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তেহট্টের ১৩টি অঞ্চলের অন্তত আড়াইশো কর্মী-সমর্থক এসেছেন বাড়িতে। মেনুতে ছিল— ভাত, ডাল, ছ্যাঁচড়া, আলুর চিপস্, পাঁঠার মাংস, চাটনি আর শেষ পাতে মিষ্টি। প্রকাশ্যে আসা ছবিতে বিধায়ককেও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাতে খাবার পরিবেশন করতে দেখা গিয়েছে।
বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূলকর্মী জানের আলি বলেন, ‘‘ইদের আগের দিন মনখারাপ ছিল। সকালে শুনলাম, সিবিআই খালি হাতে ফিরে গিয়েছে। নমাজ শেষ করে আর দেরি করিনি। সটান চলে আসি দাদার বাড়িতে। খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করতে বলি। দাদাও রাজি হন। তাই এই ভোজ।’’ তেহট্ট ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিশ্বরূপ রায়ও বলেন, ‘‘সে ভাবে পরিকল্পনা করে কিছু করা হয়নি। সবাই চাপের মধ্যে ছিলাম। এখন অনেক বেশি চাপমুক্ত লাগছে। সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া আর কী! আমরা চাঁদা দিয়ে এর আয়োজন করেছি।’’
তাপসও বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানি না। সকাল থেকে বেরোতে পারিনি। প্রত্যেক বছর ইদের দিন কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাওয়াদাওয়া করি। এ বারও অনেকে রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছিল। আর যারা পরে এসেছে, তাঁরা সবাই খাওয়াদাওয়ার বায়না করল। আমিও না করতে পারলাম না।’’
এ নিয়ে তাপসকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিজেপির কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘কে কোথায় কী খাওয়াদাওয়া করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। তদন্ত এখনও চলছে। এত উচ্ছ্বাসের কিছু নেই!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy