‘দেশি কাট্টা’ উদ্ধার করেছে পুলিশ প্রশাসন। — ফাইল চিত্র।
দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটের আগে বিশেষ অভিযান চালিয়ে একের পর এক অস্ত্র উদ্ধার করছে পুলিশ। যত অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে ততই কপালে ভাঁজ পড়ছে কর্তাদের। তদন্তে দেখা যাচ্ছে, বাইরে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে না, বরং বাইরের কারিগরেরা এসে বন্দুক বানিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
নাইন এমএম বা সেভেন এমএম-এর মতো সেমি অটোমেটিক অগ্নেয়াস্ত্র তৈরি বেশ কঠিন। তার জন্য যেমন অত্যন্ত দক্ষ কারিগরির প্রয়োজন তেমনই কিছুটা হলেও উন্নত পরিকাঠামো (কারখানা) প্রয়োজন। পুলিশের দাবি, নদিয়ায় এই মুহূর্তে সেই ধরনের কোনও কারখানার খবর গোয়েন্দাদের কাছে নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে একেবারে স্থানীয় স্তরে উন্নত মানের ওয়ান শটার বা দেশি কাট্টা তৈরি হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরের কারিগরেরা এসে ওয়ান শটার তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছে। তা যথেষ্ট উন্নতও। ‘মিস ফায়ার’-এর সম্ভবনা কম। কম দুর্ঘটনার সম্ভবনাও।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে নদিয়া জেলার ভীমপুরের শাকদব মোড় এলাকায় একটি ছোটখাট অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছিল পুলিশ। বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছিল। কল্যাণীর সগুনাতেও অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছিল সিআইডি। প্রচুর উন্নত মানের অস্ত্র উদ্ধার হয় সেই সময়। ২৯টি ওয়ান-শটার বন্দুক, একটি দেশি ৯ এমএম পিস্তল, ৪টি একনলা ও দু’টি দোনলা বন্ধুক উদ্ধার হয়। তার পর থেকে নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হলেও ‘কারখানা’-র হদিশ মেলেনি। তবে ‘কারিগর’-এর কথা এ বার উঠে আসতে শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ ও সিআইডি সূত্রে খবর, এই ধরনের কারিগরের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে একাধিক বার হানা দিয়েও তাদের নাগাল মেলেনি। দেশি আগ্নেয়াস্ত্র বা ওয়ান শটার তৈরির সামগ্রী যেমন লোহার পাইপ, স্প্রিং সংগ্রহ করা সহজ। তবে এত দিন ভাল কারিগরের অভাব ছিল। এখন বাইরে থেকে কারিগর এনে সেই অভাব মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা খুবই সামান্য বলে দাবি পুলিশের।
(চলবে)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy