জে পি নাড্ডার সভা নাকাশিপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র
জে পি নড্ডা এলেন। বিজেপি কার্যকর্তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপালেন। তার পরেও মাঠ ফাঁকা থাকায় জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে।
এমনিতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা-সহ রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে নাকাশিপাড়া থানার বেথুয়াডহরি স্টেশন সংলগ্ন জুনিয়র ইস্টবেঙ্গলের মতো ছোট মাঠে সভা করা নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। বিরোধীদের অনেকেই দাবি করেছিল, বিজেপি মাঠ ভরাট দেখানোর জন্য ওই মাঠ বেছে নিয়েছে। মাঠের অনেকটাই অংশ ছেড়ে মঞ্চ বাঁধা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল স্থানীয়দের মনে। তার পরেও মাঠের সভাস্থলের পিছন দিকে কিছু অংশ ফাঁকাই দেখা গেল।
স্থানীয়দের একাংশের কথায়, নাকাশিপাড়া ব্লকের সদর এলাকা বেথুয়াডহরি। সেখানে এর আগেও একাধিক রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জনসভা করেছেন। তার বেশির ভাগটাই হয়েছে বেথুয়াডহরি সুপার মার্কেটের মাঠে। এ দিনের সভার ইমাঠ থেকে সুপার মার্কেটেরের মাঠ তুলনায় অনেক বড়। গাড়ি রাখার জায়গা অনেক বেশি। তবে কি কর্মীদের দিয়ে মাঠ ভরাট বিষয়ে নেতা নেত্রীরা সংশয় থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত এমন প্রশ্ন ঘুরছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের কটাক্ষ, বিজেপির থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই নেতাদের ডাকে সাড়া দেবেন না বুঝতে পেরেই অপেক্ষাকৃত ছোট মাঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, ‘‘এত বড় নেতা নিয়ে এসেও তো সেই ভাবে লোকই হয়নি সভায়। স্থানীয় লোকই নেই বিজেপির। যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই বাইরে থেকে এসেছেন। তার উপর মাঝ মাঠে মঞ্চ বেঁধে অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামীতে ওই মাঠেই আমাদের সভা আছে। কুড়ি হাজারের উপর মানুষ জমায়েত করব শুধু নাকাশিপাড়া ব্লক থেকে।’’ নাকাশিপাড়ার উত্তর এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাজ্জাক আহমেদ বলেন, ‘‘বিজেপি জনমত হারিয়ে ফেলেছে। একই দশা তৃণমূলের। তাই পরস্পর গেম খেলছে। এরা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক নিয়ে এসে মাঠ ভরার চেষ্টা করেছে। নাকাশিপাড়ার লোক ছিল কম।’’ তবে বিজেপির দাবি মাঠ ভরে গিয়েছিল। সভা শেষে এক বেসরকারি ভবনে বৈঠক শেষে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ২৫ হাজারের উপর লোক হয়েছিল ওই মাঠে। সেখানে জেলা পুলিশ দাবি করেছে, মেরেকেটে ৫-৬ হাজার লোক হয়েছিল মাঠে। আবার স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, ওই মাঠে ৮-১০ হাজার লোক ধরার কথা।
বেথুয়াডহরির ওই মাঠে সভা করা নিয়ে বিজেপির যুক্তি, ভৌগলিক দিক থেকে বেথুয়াডহরি মধ্যস্থল। এ ছাড়াও ওই সভাস্থল থেকে জাতীয় সড়ক ও রেল স্টেশন খুবই কাছে। তা ছাড়া গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নাকাশিপাড়ার পার্শ্ববর্তী ধুবুলিয়া ব্লকে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। সব ব্লক থেকে কর্মীরা যাতে আসতে পারেন সে জন্য ওই মাঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
বিজেপি উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া আহ্বায়ক সন্দীপ মজুমদার দাবি করেন, ‘‘আমাদের যা লক্ষ্য ছিল তা ছাপিয়ে গিয়েছে। আমরা যে জায়গা থেকে দেখেছি সেখানে মাঠ ভরাট ছিল। মাঠের বাইরে রাস্তাতেও লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy