জলঙ্গি নদী থেকে উদ্ধার হওয়া সেই অ্যাম্বুল্যান্স। — নিজস্ব চিত্র।
জলঙ্গি নদীতে অ্যাম্বুল্যান্স পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার, ইংরেজি নববর্ষের রাতে এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর ঘূর্ণি এলাকার বক্সিপাড়া লেনে। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ এবং দমকল ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে উদ্ধার করেছে। ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণির বক্সিপাড়া লেনের বাসিন্দা নারায়ণ হালদার ভাড়ার গাড়ি চালান। কৃষ্ণনগরের একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মালিকানাধীন ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিতে করে সোমবার ভোরে কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতায় রোগী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো নারায়ণ তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন অ্যাম্বুল্যান্সটি। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণ ঘুমিয়ে পড়লে তাঁর ছেলে রাজ হালদার (২০) চাবি চুরি করে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে ঢোকেন। সঙ্গে ছিলেন তীর্থরাজ বিশ্বাস নামে রাজের এক বন্ধুও। কিন্তু গাড়িতে ঢোকার পর আচমকাই অ্যাম্বুল্যান্সটি পিছন দিকে গড়াতে শুরু করে। ঘটনার আকস্মিকতায় তীর্থরাজ অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ঝাঁপ দেন এবং তিনি বেঁচে যান বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পর অ্যাম্বুল্যান্সটি গড়াতে গড়াতে জলঙ্গী নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই আটকে পড়েন রাজ। ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা বন্ধ থাকায় তাঁকে বার করা সম্ভব হয়নি। সকালে পুলিশ এবং দমকল এসে অ্যাম্বুল্যান্স-সহ রাজের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
রাজের বাবা নারায়ণ বলেন, ‘‘রাত ১২টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সে চাবি দিয়ে এসে ঘরে রেখে দিয়েছিলাম। এর পর রাজ চাবি নিয়ে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স খুলে তীর্থকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কী করেছে, বলতে পারব না। হইচই শুনে ছুটে এসে দেখি, অ্যাম্বুল্যান্স জলের তলায় চলে গিয়েছে।’’ এ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে রাজের পরিবার। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল জানিয়েছেন, ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy