—প্রতীকী চিত্র।
সন্ধ্যায় বাড়ির সামনেই খেলছিল ২বছরের শিশুকন্যা। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তার। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি ওই শিশুর। রাত ৯টা নাগাদ এক সন্দেহভাজন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মিলল শিশুর খোঁজ। তবে তত ক্ষণে আর বেঁচে নেই শিশুটি। অভিযোগ, ওই শিশুর কানে এবং হাতে থাকা সোনা এবং রুপোর অলঙ্কার খুলে নেন ওই প্রতিবেশী। এর পর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার সিকদারপুর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। ইতিমধ্যে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই মহিলাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা জানিয়েছেন, লোনের কিস্তি মেটাতে শিশুর অলঙ্কার চুরি করেন তিনি। তার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করেন শিশুটিকে।
মৃত শিশুটির মা সুমা খাতুন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনেই খেলছিল মেয়ে। তিনি সংসারের কাজ করছিলেন। হঠাৎ দেখেন মেয়ে নেই। তিনি খোঁজ শুরু করেন প্রতিবেশীদের বাড়িতে। কিন্তু কোথাও পাননি মেয়েকে। প্রতিবেশীরাও খোঁজ শুরু করেন বাচ্চাটির। তখন এক প্রতিবেশী জানান, জনৈকা মায়ামান বিবির কোলে তিনি শিশুটিকে দেখেছেন। এর পর ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয়েরা। প্রথমে তিনি পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করলেও শেষমেশ বলে দেন যে শিশুটিকে নিজের হাতে খুন করেছেন। তিনি জানান, লোনের কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে শিশুটির গায়ে থাকা অলঙ্কার খুলে নিয়েছিলেন শিশুটিকে তিনি শমসেরগঞ্জের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন বলে জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তাকে। সেই সঙ্গে শিশুটির দেহ উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
মৃত শিশুটির মায়ের কথায়, ‘‘প্রতি দিন সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে ও খেলত। সম্পর্কে ওর পিসি হয় মায়ামান। মাঝেমধ্যেই মেয়েকে কোলে নিত... ওর যেন ফাঁসি হয়।’’ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy