প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বার-বার বিভিন্ন ভাবে নদিয়ার নাম উঠে আসছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকদহ ব্লকের এক তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক গৃহশিক্ষক। রানাঘাট থানার বৈদ্যপুর ঘাটিগাছার বাসিন্দা সমর দাস নামে ওই গৃহশিক্ষক এই সম্পর্কে একটি অডিয়ো ক্লিপ পুলিশকে জমা দিয়েছেন, যার সত্যতা আনন্দবাজার পত্রিকা যাচাই করেনি।
সমর দাসের অভিযোগ, ‘‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরির দেওয়ার বদলে ৬ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন তাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পার্থপ্রতীম দে। প্রথমে ২ লক্ষ টাকা এবং পরে দফায়-দফায় বাকি ৪ লক্ষ টাকা তিনি নেন। চাকরি না-পেয়ে সেই টাকা ফেরত চাইলে প্রধান খুনের হুমকি দেন ফোনে। সেই কথার অডিয়ো রেকর্ড আমার কাছে আছে।’’
৬ বছর আগে ঘুষ নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় পার্থপ্রতীমবাবু পঞ্চায়েত প্রধান হননি। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরিকল্পনা করে এ সব হচ্ছে। যে অডিয়ো ক্লিপের কথা বলা হচ্ছে সেটা আমার নয়।’’
এর পাল্টা চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘‘সব ব্লকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যাচ্ছে। প্রধানকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি টাকা নেননি।’’ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পর্ষদের পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি জানিয়েছিল যে, অভিযুক্ত মানিককে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর নামে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করা হয়। শেষে অবশ্য কলকাতার যাদবপুরের বাড়িতে তাঁর খোঁজ মেলে।
আবার সম্প্রতি কল্যাণীর বাসিন্দা এক শিক্ষিকা পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের স্বামী অভিযোগ করেন যে, টেট পাশ না করেও সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই শিক্ষিকা ২০১৭ সালে রানাঘাটের হবিবপুরের একটি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পান। যদিও ওই শিক্ষিকা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy