—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এমনিতেই বহরমপুর শহরে যানজট লেগেই থাকে। সে কারণে অনেকেই বহরমপুরকে যানজটের শহর বলে থাকেন। আর পুজোর সময়ে বেশি লোকজন ঘর ছেড়ে বাইরে বেরোন। ফলে সে সময় যানজট সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে এবারে পুজোর প্রথম বৈঠক থেকেই জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পুজো কমিটিগুলিকে জানানো হয়েছিল, যানজট মোকাবিলায় ‘রাস্তার এপার ওপার করা’ বিজ্ঞাপনী তোরণ করা যাবে না। পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে ‘এল’ আকৃতির তোরণ করা যাবে। যা নিয়ে প্রশ্নে তুলেছিল বহরমপুরের পুজো কমিটিগুলি। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন কিছুটা নরম হয়ে বহরমপুরে শর্তসাপেক্ষে ‘রাস্তার এপার ওপার করা’ বিজ্ঞাপনী তোরণের অনুমতি দিয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে।
তবে পুজো কমিটিগুলি সেই শর্ত মানছে নি? পুলিশ প্রশাসন কি নজরদারি চালাচ্ছে, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
যা শুনে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) পাপিয়া সুলতানা বলছেন, ‘‘পুলিশ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা পরিদর্শন করে বিজ্ঞাপনী তোরণ করার অনুমতি দিচ্ছে। পিচ রাস্তায় যাতে তোরণের খুঁটি না বসানো হয় তা যেমন দেখা হচ্ছে, তেমনই মোড়ের মাথাও দেখা হচ্ছে।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ধীরে ধীরে রাস্তার এপার ওপার করা বিজ্ঞাপনী তোরণ কমানো হচ্ছে। গত বছর পুজো কমিটি পিছু ২০টি করে রাস্তার এপার ওপার করা বিজ্ঞাপনী তোরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এবারে কমিয়ে ১০টি করে তোরণ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে এটা কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বছর পুজো কমিটিগুলি বিজ্ঞাপনের জন্য যাতে বিকল্প ভাবে তাও এখন থেকে বলা হচ্ছে।
বহরমপুরের বিটি কলেজ বটতলা ভট্টাচার্যপাড়া দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক সুজয় সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন শর্তসাপেক্ষে প্রতিটি পুজো কমিটিকে ১০টি করে রাস্তার এপার ওপার করা বিজ্ঞাপনী তোরণ করার অনুমতি দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই আমরা তোরণ করছি। আমাদের তোরণের খুঁটি পিচ রাস্তায় ওঠেনি। পিচ রাস্তার নিচেই তোরণের খুঁটি রয়েছে।’’
বহরমপুর শহরের দুর্গাপুজো কমিটিগুলির দাবি, পুজোর আর্থিক সংস্থানের অন্যতম উপায়ই হল রাস্তার ‘এপার ওপার করা’ বিজ্ঞাপনী তোরণ। তা কমালে বাজেটে টান পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy