প্রতীকী ছবি
মেরেকেটে ফুটখানেক জমি। সেই জমিকে ঘিরেই মামা-ভাগ্নের খুনোখুনি কাণ্ড ঘটল ভরতপুরের পল্লিশ্রী গ্রামে।
ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েও ক্ষান্ত বয়নি মামা, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মামার হাতে খুন হল ভাগ্নে। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় পল্লিশ্রী গ্রামের জয়চাঁদ বিশ্বাস (৪০)।
মামা-ভাগ্নের পরিবারের ওই গন্ডগোলে আহত হয়েছেন ৫ জন। পুলিশ অভিযুক্ত সৈরেশ বিশ্বাস ও তার ছেলে শঙ্কর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায় জয়চাঁদের বাড়ির কাছে চার কাঠা জমি আছে। জমি নিয়ে মামা-ভাগ্নের রেশারেশি। রবিবার ওই জমিটি আদাআধি ভাগ করছিল দুই পরিবার। সেই সময় মামা জোর করে ভাগ্নের অংশ থেকে একফুট জমি বেশি নিয়ে নিচ্ছেন বলে দাবি করে বাধা দেয় জয়চাঁদ। তা নিয়েই কথা কাটাকাটি ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। সেই সময় তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে হাঁসুয়া, লাঠি, লোহার রড নিয়ে এসে জয়চাঁদকে পেটাতে থাকে। দু’বাড়ির মধ্য়ে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। গুরুতর জখম হন জয়চাঁদ-সহ তাঁর স্ত্রী যোগমায়া, দাদা মঙ্গল, ভাই লক্ষ্মণ ভাইপো প্রশান্ত। চোট পায় মামা সৈরেশও। স্থানীয় বাসিন্দারা জখমদের উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান জয়চাঁদ। মঙ্গল ও প্রশান্তকে মুর্শদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে মঙ্গল ও প্রশান্তের। বাকি দু’জনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর মঙ্গলের মেয়ে আশালতা বিশ্বাস ভরতপুর থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। ওই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ সৈরেশ ও শঙ্করকে গ্রেফতার করেছে। অন্য তিন অভিযুক্ত পলাতক। সোমবার ধৃতদের কান্দি আদালত তোলে পুলিশ। আদালত চত্বরে সৈরেশ বলেন, “আমি জয়চাঁদকে খুন করিনি। কে মেরেছে আমি জানিনা।” কান্দি এসিজেএম ধৃতদের জামিনের আবেদন নাকচ করে ১৪দিনের হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy