প্রতীকী ছবি।
ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে খুন, জখম নতুন কিছু নয় মুর্শিদাবাদ জেলায়। পানে জর্দা কম দেওয়ায় পান বিক্রেতাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা, পড়শির বাড়িতে গিয়ে মুরগির ডিমপাড়া নিয়ে বিবাদেও মারপিটের ঘটনা অতীতে আকছার ঘটেছে। এ বার সজনে শাক পাড়া নিয়ে বিবাদে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বহরমপুরের হরিদাসমাটিতে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালের ওই ঘটনায় মৃতের নাম শত্রুঘ্ন চৌধুরী (৪৬)। এ দিন সকালে বাড়ির কাছ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে দেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। মৃতের বাড়ি হরিদাসমাটির চৌধুরীপাড়ায়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এ দিন বাড়ির কাছে একটি জমিতে সজনের শাক পাড়তে গিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। ওই সময় প্রতিবেশী যুবক সুকুমার মণ্ডল ও তার মায়ের সঙ্গে শত্রুঘ্নর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে তা বচসায় গিয়ে দাঁড়ায়। অভিযোগ, সেই সময় শত্রুঘ্নকে মাটিতে ফেলে লাথি, কিল, ঘুসি মারতে থাকে দুই অভিযুক্ত। যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শত্রুঘ্নর। ঘটনার খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করে। বহরমপুর থানার পুলিশের দাবি, ঠিক কী কারণে তাঁদের গন্ডগোল বেধেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শাক পাড়া নিয়ে গন্ডগোলের বিষয়েও কেউ পুলিশকে কিছু জানাননি। তবে অভিযুক্ত সুকুমার ও তার মাকে আটক করে বহরমপুর থানায় আনা হয়। পরে সুকুমারকে গ্রেফতার করে তারা।
মৃতের বোন দৈবন্তী মাহাতো বলেন, ‘‘আজ সকালে দাদা শাক তুলতে গিয়েছিলেন। ওই সময় পড়শি সুকুমার ও তার মা দাদা পিটিয়ে খুন করে। আমরা ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ মৃতের দাদা কৈলাস সাংবাদিকদের জানান, শত্রুঘ্ন অকৃতদার ছিলেন। বাবা-মার সঙ্গে একই বাড়িতে তিনি থাকতেন। তাঁর বাবা সজনে শাক খুব পছন্দ করেন। তাই বাবার জন্য সজনের শাক আনতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কথায়, ‘‘ভাই মাছ ধরত। মাঝেমধ্যে আশপাশ থেকে শাক জোগাড় করে বাড়িতে আনত। কিন্তু এ জন্যে যে ওকে খুন হতে হবে, ভাবতে পারছি না।’’
শত্রুঘ্নর ভগিনীপতি অঙ্গত মাহাতো জানান, যে জমিতে সজনে গাছটি রয়েছে, সেটি তাঁদের এক আত্মীয়ের। সম্প্রতি তিনি ওই জমি অন্য একজনকে বিক্রি করেছেন। নতুন জমির মালিক বহরমপুরে না থাকায় শত্রুঘ্নের পরিবার জমিটিদেখভাল করত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy