সাগরদিঘির সভায় কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
তিন বছর সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদকে উন্নয়ন দিয়ে ভরিয়ে দিতে। সোমবার সাগরদিঘির ধুমারপাহাড় মাঠে দেড় ঘণ্টার এক প্রশাসনিক সভায় এসে এ ভাবেই আশ্বাস দিলেন মুর্শিদাবাদবাসীর কাছে। এই সভায় জেলার তৃণমূলের প্রায় সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ ও জেলা সভাপতিরা ছাড়াও জেলা শাসক ও দুই পুলিশ জেলার সুপার হাজির ছিলেন।
১৪ প্রকল্পের উদ্বোধন
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জেলার ৭৯.০৯ কোটি টাকার ১৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৬১৪.০৭ কোটি টাকা ব্যয়ের ৩২টি নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। পাশাপাশি কিছু পরিষেবা সামগ্রীও তুলে দেন উপভোক্তাদের হাতে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুর্শিদাবাদে আপনারা আমাকে অনেক দিয়েছেন। দেখবেন তিন বছরের মধ্যে কেমন করে জেলাকে তৈরি করে দিই।’’
প্রয়াত মন্ত্রীকে শ্রদ্ধা
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি খুব স্বল্প নোটিসে সাগরদিঘিতে এসেছি কারণ অকালে প্রয়াত হয়েছেন সুব্রত সাহা। প্রথম দিন থেকে উনি আমার সঙ্গে রাজনীতিটা করতেন। আমি তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে সেদিনই ববি হাকিমকে পাঠিয়েছিলাম তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সোমবার এখানে এসেছি।”এদিনের সভামঞ্চে সুব্রতবাবুর স্ত্রী ও ছেলে উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে প্রয়াত মন্ত্রীর কোনও ছবি রাখা হয়নি।
দুয়ারে সরকার
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুয়ারে সরকার প্রকল্পে পৃথিবীতে প্রথম আমরা। দুয়ারে সরকারে আপনারা যে আবেদন করছেন সেই আবেদনের ভিত্তিতে আপনাদের পরিষেবা দিচ্ছি। এটা অষ্টম পর্যায়ে চলছে। আজ তার সূচনা হল।”
ভাঙন রদে উদ্যোগ
সম্প্রতি জেলায় গঙ্গার ভাঙনে বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। ভাঙন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুর্শিদাবাদে নদীর ভাঙনে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহারা হচ্ছেন। আমরা যথাসাধ্য করছি। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা দিয়ে কাজ করা উচিত। ভাঙন রোধের কাজ তাদের অধীনে ছিল। এখন বলছে করতে পারব না। কেন পারবে না?” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভাঙন রদ সহজ কাজ নয়। উদ্যোগ দরকার।
বিড়ি শ্রমিকদের হাসপাতাল
এ দিন মঞ্চেই বিধায়ক জাকির হোসেন ও সাংসদ খলিলুর রহমানের নাম করে তাঁদের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দু’জনেই যাঁরা বিড়ি শিল্প নিয়ে কাজ করেন, তাঁরা শ্রমিকদের জন্য ভাল একটা হাসপাতাল করার ব্যবস্থা করুন জঙ্গিপুরে। সব সাহায্য করবে রাজ্য।” জাকির এবং খলিলুর দু’জনেই দীর্ঘকালের বিড়ি শিল্পপতি।
টাকা দেয়নি কেন্দ্র
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “এ বারের গঙ্গাসাগরে ৭০ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন। সারা বছরে দেড় কোটি মানুষ সেখানে স্নান করতে আসেন। অথচ কেন্দ্র একটি পয়সা সেখানে খরচ করে না। তবু দেখুন আমরা সাজিয়ে দিয়েছি। তবে আমি কোথাও কোনও কর বসাব না।” তাঁর আশ্বাস, ‘‘অনেক কুৎসা শুনবেন। চিন্তা করবেন না। ভয় পাবেন না। কোথা থেকে কী করতে হয়, তা আমরা জানি। তুমি টাকাও দেবে না, আবার কিছু করতেও দেবে না তা তো হয় না। টাকা আমি ঠিক জোগাড় করে নেব যেখান থেকেই হোক। কারণ তৃণমূল লড়তে জানে।’’
১৭ লক্ষের নাম কেটেছি
আবাস যোজনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘আমরা রাজ্যে আবাস যোজনায় ১৭ লক্ষ পরিবারের নাম কেটে দিয়েছি। বিজেপির দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলি নিজেদের নেতা কর্মীদের এই সব নাম তালিকায় ঢুকিয়ে ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy