জেলাশাসকের দফতরের সামনে চলছে বিক্ষোভ। বুধাবর কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গ ও কলকাতার পর এ বার নদিয়া। আধা সামরিক বাহিনী ছাড়া ভোটের ডিউটি করতে অস্বীকার করে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন একদল ভোটকর্মী।
বুধবার দুপুরে কৃষ্ণনগরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বুথের ভিতরে ভোট গ্রহণের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনীর দাবি করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু তা-ই নয়, বিগত পঞ্চায়েত ভোটে তাদের নানা দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথাও তাঁরা তুলে ধরেন।
এ দিন মূলত ‘শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ’-এর পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারে এক মাত্র আধা সামরিক বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটে দেখেছি, কী ভাবে বারবার আমাদের নিরাপত্তার অভাব হয়েছে।” তাঁদের আক্ষেপ, ভোট লুটের প্রতিবাদ করায় কোচবিহারে এক ভোটকর্মীকে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার এখনও কোনও কিনারা হয়নি। বরং রাজ্য সরকারের তরফে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মইদুল বলেন, ‘‘সেই কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কোনও ভাবেই আধা সামরিক বাহিনী ছাড়া আমরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাব না।” সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভাপতি সুজিত দাস বলছেন, “ভোটগ্রহণ আমাদের দায়িত্ব, আমাদের কর্তব্য। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করতে যাই কী করে? আমাদের কিছু হলে পরিবারগুলো তো ভেসে যাবে।”
নদিয়া জেলায় মহিলাদের এ বার ভোটের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না। তবুও বহু মহিলা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভে শামিল হতে দেখা যায়। কৃষ্ণগঞ্জ থেকে আসা শিক্ষক বিচিত্রা মণ্ডল বলছেন, “আমাদের সন্তান, আমাদের স্বামী, আমাদের সহকর্মীরা যাবেন ডিউটিতে। কী ভাবে আমরা তাঁদের মৃত্যুর মুখে ছেড়ে দেব?”
কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জানিয়ে দেন, আধা সামরিক বাহিনী ছাড়া তাঁরা ভোটের ডিউটি করবেন না। পরে অবশ্য পুলিশের অনুরোধে তারা অবরোধ তুলে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy