নির্বাচনী প্রচারে যুযুধান মোদী-মমতা
নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে বুধবার তাহেরপুরে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। তাই এখন সাজো-সাজো রব তাহেরপুরে। আর এ দিনই কৃষ্ণনগরে জনসভা করতে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দুপুরে হেলিকপ্টারে তাহেরপুরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। তাহেরপুর থানার পাশের মাঠে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। সেখান থেকে গাড়িতে তিনি যাবেন প্রায় ৫০০ মিটার দূরের তাহেরপুর পুর ভবনের পাশের মাঠে জনসভায়। মঙ্গলবার মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয়েছে মাঠ। ভিআইপি জোন থেকে শুরু করে মহিলাদের জায়গা আলাদা করে চিহ্নিত করার পাশাপাশি প্রবেশ পথও আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। থাকছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে খুব বেশি দূর যাবেন না। তাই সেভাবে যানজটের সম্ভাবনা নেই। তবে ওইটুকু রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর জুড়ে মাইক লাগানো হচ্ছে। প্রায় ২০০ মাইক ব্যবহৃত হবে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। এ ছাড়াও তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন যে মাঠে এই জনসভা হবে, তার পাশে দুটি ছোট মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হবে।
তাহেরপুরে এই সভা নিয়ে আশায় বিজেপি নেতা কর্মীরা। রানাঘাট লোকসভা এলাকায় এর আগে সভা করেননি মোদী। গত লোকসভা বা বিধানসভায় তিনি সভা করেন কৃষ্ণনগরে। দুদিন আগেই কৃষ্ণনগরে সভা করে গিয়েছেন অমিত শাহ। এবার রানাঘাটে খোদ প্রধানমন্ত্রী। রানাঘাট নিয়ে বার বার বিব্রত হতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। কখনও প্রার্থী বদল, কখনও একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন পেশ দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। বারবার গোষ্ঠী কোন্দলের মতো বিষয় উঠে এসেছে। গোদের উপর বিষ ফোড়ার মতো দলের এক নেতার বিরুদ্ধে দলীয় দফতরে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক মহিলা কর্মী। এবার মোদীর সভা ঘিরে ভোটের মুখে অক্সিজেন পেতে চাইছে বিজেপি।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, মোদীর সভা হবে হবিবপুরে। কিন্তু আরও বড় মাঠের সন্ধান করতে গিয়ে পরে স্থান পরিবর্তন হয়। তাহেরপুরে সভা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও প্রশ্ন রয়েছে। কোনও কোনও মহলের দাবি, রানাঘাটে জেতার জন্য বেশি সংখ্যায় বাম ভোট নিজেদের দিকে টেনে আনতে চায় বিজেপি। তাহেরপুর জেলার একমাত্র বাম পরিচালিত পুরসভা। সেই কারণেই কি সভা তাহেরপুরে নিয়ে আসা হল? বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “তাহেরপুরে সভার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই। হবিবপুরের মাঠের থেকে তাহেরপুরের মাঠ বড়। সেই কারণেই সভা এখানে হচ্ছে।’’ সিপিএমের তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতীপ রায় বলেন, “তাহেরপুরে আমাদের ভোট অটুট থাকবে। বরং এখানে প্রধানমন্ত্রীর সভা হচ্ছে বলে এবার আমাদের কর্মীরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভাল ফলের জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy