Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সংযত হওয়ার আবেদন কেষ্টর 

অনুব্রত ছাড়াও সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ, দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, সাংসদ তাপস মণ্ডলেরা।

কর্মিসভায় অনুব্রত। পাশে প্রার্থী রূপালী। নিজস্ব চিত্র

কর্মিসভায় অনুব্রত। পাশে প্রার্থী রূপালী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ধানতলা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০৫:১১
Share: Save:

তাঁর চড়া কথা শুনতেই লোকে বেশি অভ্যস্ত। সেই অনুব্রত মণ্ডলের মুখেই শোনা গেল ভাষা সংযত করে কথা বলার আর্জি।

বুধবার ধানতলার দত্তপুলিয়ায় রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মী সম্মেলনে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বক্তব্য প্রসঙ্গে অনুব্রত ওরফে কেষ্ট বলেন, “মুহূর্তের উত্তেজনায় এই ভাষা বলা হয়। সবার ভাষা সংযত করা উচিত। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সম্মান করি।”

অনুব্রত ছাড়াও সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ, দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, সাংসদ তাপস মণ্ডলেরা। রানাঘাট লোকসভায় দলের প্রার্থী রূপালী বিশ্বাস তো ছিলেনই। অনুব্রত বলেন, ‘‘“কেউ চোখ রাঙালে ভয় পাবেন না। বাড়ি-বাড়ি যান। মানুষকে বোঝান। সবাইকে সকাল সকাল গিয়ে জোড়াফুলে ভোট দিতে বলুন।’’ সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘‘রাজ্যের সব আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী। তাই হাত জোড় করে বলব, সব আসনে আমাদের প্রার্থীদের জয়ী করুন।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ভাষা সংযত করা প্রসঙ্গে নদিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকারের কটাক্ষ, “উনিই তো এ সব বলে এসেছেন। এখন ওঁর মুখে ভাষা সংযত করার কথা শুনে ভাল লাগছে। ওঁর শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আমাদের নিয়ে ওঁকে ভাবতে হবে না। আমাদের সবাই সংযত।” অনুব্রত যখন বক্তব্য শেষ করে ফিরে যাচ্ছেন, কর্মীদের ভিড় থেকে উড়ে আসে, ‘‘দাদা, নকুলদানা দেবেন না?’’ একগাল হেসে অনুব্রত বলেন, “প্রচার করার সময়ে নকুলদানা সঙ্গে নিয়ে যাবেন।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE