গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া গাঁজা। ফাইল চিত্র
সাদা গাড়ির কাচে সাঁটা আইনজীবী ‘স্টিকার’। কিন্তু নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে পিছু ধাওয়া করে সে গাড়ি থামায় পুলিশ। গাড়ি থেকে মেলে ১০০ কেজিরও বেশি গাঁজা। গাড়িটি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের এক আইনজীবীর। সোমবার ওই আইনজীবী তরুণকুমার মাজি-সহ ছ’জনের নামে মামলা করেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানা।
শনিবার দুপুরে গাঁজা পাচারের খবর পেয়ে আগেই নান্দাই সেতুর কাছে অপেক্ষায় ছিল পুলিশ। গাড়ির চালক সঞ্জীব রায় ও ভিতরে থাকা সুকদেব দাস বিপদ আন্দাজ করে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয়। পিছু নিয়ে ১৫ কিলোমিটার দূরে নাদনঘাট মোড়ে গিয়ে গাড়িটিকে ধরে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছে, বেশ কয়েক বার ওই গাড়িতে ওড়িশার মালকানগিরি থেকে গাঁজা এনেছে তারা। এ রাজ্যে সেই গাঁজা চলে যেত পূর্বস্থলী ও নবদ্বীপের কিছু জায়গায়। তদন্তে নেমে পরিবহণ দফতরে যোগাযোগ করে পুলিশ। জানা যায়, গাড়ির মালিক আইনজীবী তরুণকুমার মাজি কৃষ্ণনগর শহরের কাঁঠালপোতার বাসিন্দা। তিনি দশ বছর ধরে তিনি কৃষ্ণনগর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তবে অভিযোগ নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘এটা বিচারাধীন বিষয়। মন্তব্য করব না।’’ মাস চারেক আগে গাড়িটি কেনেন তরুণবাবু। গাড়িটি চালাত নবদ্বীপের বাসিন্দা সঞ্জীব রায়। কৃষ্ণনগর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমেন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। এটুকু বলতে পারি, তরুণ খুব ভাল ছেলে।’’ এসডিপিও (কালনা) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘গাড়ির মালিক কে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরের সমীর সাহা, রাজু দেবনাথ ওরফে ভাগ্নে রাজু এবং পিন্টু বলে আরও তিন জনও গাঁজা পাচারের কারবারে জড়িত বলে জানা গিয়েছে।’’ এই তিন জন রাজ্যের নানা প্রান্তে তুলনায় ছোট কারবারিদের গাঁজা পৌঁছে দিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy