নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এক দিনের জন্য নদিয়ায় ঘুরে গেলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে জেলার বর্ষীয়ান নেতাদের কারও সঙ্গেই তিনি দেখা করেননি।
এক শিল্পপতির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ ওঠায় মহুয়াকে ডেকে পাঠিয়েছে সংসদের এথিক্স কমিটি। তাঁর নিজের কেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনীর পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান আছে জানিয়ে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু তাঁকে ২ নভেম্বর হাজিরা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে মহুয়া দিল্লি থেকে নদিয়ায় আসতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দলে জল্পনা ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় জেলায় এসে সাংসদ তেহট্ট ২ ব্লক অফিসে মহিলা ও শিশুদের একটি প্রতীক্ষালয়ের উদ্বোধন করেন। সেখানে ছিলেন তেহট্ট ২-এর বিডিও শুভ সিংহ রায়। বিডিও-কে বিদায় সংবর্ধনা দিতে আসা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মহুয়া। তবে দলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বা জেলা কমিটির চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেননি। মঙ্গলবার কল্লোল বলেন, “উনি আমাদের কিছু জানাননি। কখন গিয়েছেন, তা-ও জানি না।”
সোমবার রাতে করিমপুরে আনন্দপল্লির ভাড়াবাড়িতে ছিলেন মহুয়া। অনুগামীদের নিয়ে লক্ষ্মীপাড়ার লক্ষ্মীপুজোর মেলাতেও যান। এ দিন দুপুরে করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির ব্যবস্থাপনায় বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন তিনি। করিমপুর অবশ্য তাঁর সংসদ এলাকার মধ্যে পড়ে না। মহুয়া ছাড়াও তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা সেখানে ছিলেন। তবে করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সাজিজুল হক শাহ বলেন, "অনেক আগে থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির বিজয় সম্মিলনীর দিনক্ষণ ঠিক ছিল। দিন ঠিক করার সময়েই মহুয়াদিকে আমরা জানিয়েছিলাম। তাই উনি এসে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।" তবে অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি কোনও কথা বলতে চাননি। দিল্লির বিমান ধরার জন্য কৃষ্ণনগর হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে চলে যান।
নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের যুব সহ সভাপতি সৌমেন বিশ্বাস বলেন, "দিদি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। বদনাম করার জন্য আজেবাজে কথা রটানো হচ্ছে। উনি আগামী ২ নভেম্বর এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হয়ে নিজস্ব বক্তব্য পেশ করবেন। অভিযোগ সম্পর্কে মহুয়াদি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন।"
করিমপুরে এসে বিজয়া সম্মিলনী করলেও মহুয়া কিন্তু দলের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়ের সঙ্গে দেখা করেননি। ফোনেও তাঁদের কথা হয়নি। তেহট্টের বিধায়ক বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকলেও স্থানীয় বিধায়ককে সেখানে দেখা যায়নি। জানান, আমার সঙ্গে উনার ও হয়নি। বিমলেন্দুর দাবি, “উনি কখন করিমপুর এলেন, কখন গেলেন, আমার কিছুই জানা নেই। পঞ্চায়েত সমিতির বিজয়া সম্মিলনীর কথাও আমায় কিছুই জানানো হয়নি।" সাজিজুল অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, “দিন চারেক আগেই ওঁকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছি। এখন উনি যদি তা ভুলে যান, কিছু বলার নেই।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy