Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Jangipur

ইমানির বিরুদ্ধে অভিযোগ সভাপতির

শমসেরগঞ্জের দলীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছেই। বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গেও সম্পর্ক অম্ল মধুর।

বৈঠকে খলিলুর। নিজস্ব চিত্র

বৈঠকে খলিলুর। নিজস্ব চিত্র

বিমান হাজরা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:০৬
Share: Save:

সুতির দলীয় বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস ও সুতির দুই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান। বুধবার জেলা কমিটি ঘোষণাকে ঘিরে দলীয় স্তরে তদন্ত দাবি করেছেন খলিলুর। ইমানি বুধবার দাবি করেছিলেন, খলিলুর নিজের মনের মতো করে জেলা কমিটি গড়েছেন। খলিলুরের মতে, ‘‘ইমানির সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। এক ব্লক সভাপতি যা বলেছেন তাও তাঁর মনগড়া এবং অসত্য।’’

শমসেরগঞ্জের দলীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছেই। বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গেও সম্পর্ক অম্ল মধুর। এ বার জেলা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে উঠল আর এক বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের সঙ্গে।জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের মধ্যের এই দ্বন্দ্ব যে ভাবে প্রকাশ্যে এসেছে তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। কারণ এমনিতে দলে এখনও এ রাজ্যে যে কজন সাংসদ রয়েছেন তাঁদের মধ্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা হিসেবে পরিচিত তাই নয়, বিরোধী দলের নেতারাও তার আচরণের সম্পর্কে যথেষ্ট প্রশংসা করেন। জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক জেলার দলের কর্মী মহলেও তার ভাবমূর্তি যথেষ্ট ভাল। কাজেই খলিলুরের বিরুদ্ধে এই আক্রমণে কর্মী মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ দিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে নতুন করে মুখ খুলতে চাননি ইমানি বিশ্বাস। তবে ইমানি ও খলিলুর দু’জনকেই কলকাতায় রাজ্য নেতারা ডেকে পাঠিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

ইমানির আক্রমণে যথেষ্ট মর্মাহত খলিলুর নিজেও। খলিলুরের মতে, “জেলা কমিটিতে থাকা কোনও নাম নিয়েই হয়তো তাঁর (ইমানির) আপত্তি। রাজ্য কমিটি নিজে তালিকা ঝাড়াই বাছাই করে তার অনুমোদন দিয়েছে। তারপর আমি তা ঘোষণা করেছি। তার কোনও নামে আপত্তি থাকলে পরবর্তীতে আমাকে বা রাজ্য নেতাদের জানাতে পারতেন। তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা যেত। তা না করে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ ভাবে আক্রমণ আমার কাছে খারাপ লেগেছে। কারণ আমি নিজে কাউকে কুবাক্য বলি না, শুনতেও অভ্যস্ত নই।”

বিধায়ক ইমানি বুধবার জেলা কমিটি ঘোষণার পরে বলেন, “তৃণমূলকে বিক্রি করে দিতে চাইছেন তিনি কংগ্রেস ও সিপিএমের কাছে। তাই আগামী লোকসভায় তাকে জঙ্গিপুর থেকে আর আমরা দেখতে চাই না।

খলিলুর বৃহস্পতিবার বলেন, “আমি বিরোধী দলের কোনও নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি তার প্রমাণ দিতে হবে ওই বিধায়ককে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy