বাঁ দিক থেকে, গৌতম আদানি, জর্জ সোরস এবং জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল আগেই। এ বার প্রধানমন্ত্রী ‘নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানি, তাঁর ভাইপো সাগর এবং কয়েক জন সহযোগীর বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালতে দায়ের হওয়া ঘুষকাণ্ডের মামলাকে ‘শিল্পপতি জর্জ সোরসের চক্রান্ত’ বলে অভিযোগ করলেন আমেরিকার কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্য ল্যান্স গুডেন। সেই সঙ্গে সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক বি গার্ল্যান্ডকে লেখা চিঠিতে তাঁর দাবি, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিপাকে ফেলতেই এই চক্রান্তে মদত দিয়েছে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। টেক্সাস থেকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েটেটিভসে নির্বাচিত গুডেনের আশঙ্কা আদানি ঘুষকাণ্ড নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে ‘প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব’ ফেলতে পারে।
নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালত শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে, আদানি এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা চলবে আমেরিকায়। এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট জজ নিকোলাস জি গারাফিস। অভিযোগ, বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের (যার মধ্যে মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন) ঘুষ দিয়েছিল গৌতমের মালিকানাধীন ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড’ (এজিএল)। ঘুষের অঙ্ক ২৬.৫ কোটি ডলার (২০২৯ কোটি টাকা)। সেই টাকা ভুল তথ্য দিয়ে আমেরিকার বাজার থেকে তোলা। হয়েছিল বলে দাবি করে গত ২১ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ-সহ অভিযোগপত্র’ (ইনডিক্টমেন্ট) পেশ করেছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি (সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) এবং ন্যায়বিচার দফতর।
গুডেন তাঁর চিঠিতে সরাসরি সেই ইনডিক্টমেন্টকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলেছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। ক্ষমতার পালাবদলের আগে আদানিকে নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে আমেরিকার রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আদানি ঘুষ কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের সময় পাল্টা জবাবে বিজেপি দাবি করেছিল, সোরস ভারতে অস্থিরতা তৈরি করতে চান। তাঁর মদতপুষ্ট ওসিসিআরপি (অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট) আদানি বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট প্রভাবিত করেছে। সোরসের মদতপুষ্ট সংস্থার সঙ্গে সনিয়া গান্ধীরও যোগাযোগ রয়েছে বলে মোদী সরকারের কয়েক জন মন্ত্রী দাবি করেছিলেন সে সময়। এ বার আমেরিকার কংগ্রেসে ট্রাম্পের দলের সদস্যও আদানি ঘুষকাণ্ডে সোরস-যোগ নিয়ে সরব হলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy