আজিমগঞ্জ-নশিপুর রেল সেতু। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ দু’দশক পরে জেলাবাসীর কাছে বহু প্রতীক্ষিত নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার আশা বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে রেলসেতু পরিদর্শনে আসেন পূর্ব রেলের জিএম। তিনি সে দিন জানান, ২০২৪ সালের শুরুতেই এ পথে রেল চলাচল করবে। সেই মোতাবেক তারপর থেকে দ্রুত গতিতে সেতুর কাজ চলতে থাকে গত ছ’মাস ধরে। সেতুর অধিকাংশ কাজ সমাপ্তির পথে। বিদ্যুদয়নের কাজও প্রায় শেষ হতে চলেছে। জেলার বাসিন্দাদের একাংশ মনে করছেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরে আসার সম্ভবনা রয়েছে। হয়তো সেই দিনই রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন তিনি। তবে এ নিয়ে রেল দফতর থেকে সোমবার পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করেন। সেই সময় সেতু নির্মাণের জন্য রেলমন্ত্রক থেকে ৪৬.৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার জন্য ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। সেই সময় জমিজটের কারণে মাঝপথে রেলসেতুর কাজ থমকে যায়।
২০২২ সালের অগস্টে রেলসেতুর অসমাপ্ত কাজ পরিদর্শনে আসেন পূর্ব রেলের আধিকারিক অরুণ কুমার ও সাংসদ অধীর চৌধুরী।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা প্রয়াত ‘এআর খান’-এর নামকরণে নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতু নামকরণের দাবি তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে সংস্থার সম্পাদক আমিনুর রহমান সরকার বলেন, “প্রয়াত এআর খানে’র স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। রেলসেতু নিয়ে তাঁর সংগ্রামের কথা জেলাবাসীর কাছে অজানা নয়। সেতুর নামকরণ নিয়ে রেল মন্ত্রককে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। তারা অবশ্যই যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমরা আশাবাদী।”
তিনি আরও জানান, রবিবার সেতুর উপর দিয়ে মালবাহী গাড়ি চালিয়ে সেতুর ভার-ধারন ক্ষমতার প্রাথমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আমিনুর বলেন, ‘‘আশা করছি আগামী মাসের শুরুতেই এ পথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy